scorecardresearch
 

ফ্যাক্ট চেক: জ্ঞানবাপী মসজিদের বলে দাবি করে ছড়ালো শিবলিঙ্গের পুরনো ভিডিও

জলে ডুবে থাকা একটি শিবলিঙ্গের ভিডিও ছড়াল বিভ্রান্তিকর দাবি সমেত।

এই শিবলিঙ্গটিকে জ্ঞানবাপী মসজিদের শিবলিঙ্গ বলে দাবি করা হয়েছে। এই শিবলিঙ্গটিকে জ্ঞানবাপী মসজিদের শিবলিঙ্গ বলে দাবি করা হয়েছে।

জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সে সবের মধ্যেই এবার নতুন করে একটি শিবলিঙ্গের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। 

নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে যে শিবলিঙ্গ খুঁজে পাওয়ার দাবি করা হচ্ছে। এই ভিডিও সেই শিবলিঙ্গের। 

ভিডিওটি শেয়ার করে হিন্দিতে যা লেখা হয়েছে তার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, "যেই মসজিদের নামই জ্ঞানবাপী, তা হিন্দুদের ছাড়া আর কারোর হতেই পারে না। আজ তো জ্ঞানবাপী চত্বরে পুকুরের মতো দেখতে কুয়োতে শিবলিঙ্গ ও খুঁজে পাওয়া গেল।"

ভাইরাল ভিডিওটির আর্কাইভ এখানে দেখা যাবে। 

ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম অনুসন্ধানে পেয়েছে যে ভাইরাল ভিডিওটির দাবি বিভ্রান্তিকর। এই শিবলিঙ্গটি জ্ঞানবাপী মসজিদের নয়। 

আফয়া তদন্ত

জ্ঞানবাপী মসজিদে সত্যিই শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে কিনা সে বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে। কেননা, হিন্দুদের পক্ষ থেকে এমনটা দাবি করা হলেও উদ্ধার হওয়া কালো আকৃতির বস্তুটিকে মুসলিমরা ফোয়ারা বলে দাবি করছেন। 

ইতিমধ্যেই একাধিক সংবাদ মাধ্যম সেই ছবি প্রকাশ করেছে। ফলে ভাইরাল ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ জেগে যায়।

 

এর সত্যতা যাচাই করতে আমরা সবার প্রথম ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। রাশিয়ান সার্চ ইঞ্জিন ইনডেক্স-এ খোঁজার পর দেখা যায় যে, এই একই ভিডিওটি গত 2020 সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশ পেয়েছিল।

এখানে আরও পরিষ্কার করে ভিডিওটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। 

সেখান থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে সেটা গুগলে রিভার্স সার্চ করতে আমরা দেখি, একই ভিডিও 2020 সালের এপ্রিলেও ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল। 

যদিও ভাইরাল ভিডিওটির উৎস কী, বা কোথায় এটি তোলা হয়েছে, সেই বিষয়টি আমরা নির্ধারণ করতে পারিনি। তবে ভিডিওটির সঙ্গে যে বর্তমান জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের কোনও সম্পর্ক নেই, সেটা হলফ করে বলাই যায়।

 

ফ্যাক্ট চেক

social media users

দাবি

এই সেই শিবলিঙ্গ যা জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ফলাফল

ভাইরাল ভিডিওটি জ্ঞানবাপী মসজিদের নয়, এর সঙ্গে মসজিদের কোনও সম্পর্কই নেইষ ভিডিওটি ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ইন্টারনেটে রয়েছে।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
social media users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের সংখ্যা 73 7000 7000 উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন