শুক্রবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভবত সোমবার আগরতলায় যাবেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন ডেরেক ও ব্রায়েন ও আরও ২ রাজ্যের মন্ত্রী। অন্যদিকে ত্রিপুরায় কোভিডের নিয়মকানুন আরও কঠোর হয়েছে। ফলে এখন ত্রিপুরায় পা রেখে অভিষেক কী বার্তা দেন, সেই দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
ত্রিপুরায় নজর তৃণমূলের
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগেই ত্রিপুরায় একঝাঁক নেতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাত্য-কাকলিদের হাত ধরে তৃণমূলে সামিল হন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সহ সভাপতি ও কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক। ২০১৯ সালে তিনি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে গিয়েছিলেন। আরও একঝাঁক নেতাও সামিল হলেন ঘাসফুল শিবিরে। কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ চন্দ্র দাসও তৃণমূলে সামিল হন। ফলে পড়শি এই রাজ্যে ক্রমশ প্রভাব বাড়াচ্ছে ঘাসফুল শিবির। ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে রয়েছেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী। আইপ্যাক কর্মীদের হোটেলবন্দি করানো ইস্যুতে তাঁরা ত্রিপুরা এসেছেন। আসার কথা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। আইপ্যাক কর্মীদের হোটেল বন্দি করা নিয়ে বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে ওই কর্মীরা কোভিড বিধি না মেনে রাস্তায় ঘুরছিলেন। তাই তাদের আটকানো হয়।
ঘাসফুল বাড়াচ্ছে সংগঠন
বিধানসভা নির্বাচনের পরে জাতীয় স্তরে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে মরিয়া তৃণমূল। আর ঘাসফুল শিবিরের প্রথম নজর ত্রিপুরা। একসময়ে এই রাজ্যে বেশ কয়েকজন বিধায়ক ছিল তৃণমূলে। তারা প্রত্যেকেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে প্রত্যেকেই পরে বিজেপিতে সামিল হন। ফলে হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। এখন অভিষেক সফরে এসে কী বার্তা দেন সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। ত্রিপুরার কথা মাথায় রেখে সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় হয়েছে তৃণমূল। খোলা হয়েছে আলাদা ট্যুইটার পেজ। সেখানে প্রতিনিয়ত তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আপডেট হচ্ছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে পড়শি রাজ্য নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। কাকলি ঘোষ দস্তিদাস, ব্রাত্য বসু-সহ একাধিক তৃণমূলের হেভিওয়েট এই মুহূর্তে উপস্থিত রয়েছেন ত্রিপুরাতে।