বাংলার উপ নির্বাচনেও এবার উঠল বাংলাদেশ হিংসার ইস্যু। বিজেপি থেকে শুরু করে তৃণমূল, বিষয়টি সামনে রেখে দু পক্ষই একে অপরকে নিশানা করেছে। আগামী ৩০ তারিখ বাংলার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন রয়েছে। তারই প্রচারে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রত্যেকের মুখে শোনা গিয়েছে বাংলাদেশের হিংসার কথা।
বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের
মঙ্গলবার একটি সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"বাংলাদেশে ধিক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি রাজ্যনেতারা বলছেন বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তাতে বিজেপির ভোটের ব্যবধান তিনগুণ বেড়ে যাবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এটা বলেছেন। ওরা নিজেরা হিন্দু ধর্মের জন্য কি করেছে? আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, হিন্দু সহ অন্য ধর্ম রক্ষার জন্য বিজেপি কি করেছে, তা তথ্য নিয়ে সামনে এসে দাঁড়াক! একদিকে আমি থাকব, আরেকদিকে ওরা থাকবে? ওরা রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুক। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসব। ২৭শে মার্চ আমাদের এখানে নির্বাচনের সময়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার মাটিতে তাঁরা জয় বাংলা বলেন না, বাংলাদেশের মাটিতে গিয়ে তাঁরা জয় বাংলা বলেন। নির্বাচনের সময়ে বাংলাদেশে যেতে পারলেন, আজকে আপনি যাচ্ছেন না কেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন না? ওঁরা ভোটের সময়ে ওখানে গিয়ে 'ডিল' করে আসবেন। আর নির্বাচনের সময়ে বাংলার মানুষকে ভাগ করে বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখবেন।"
পাল্টা তোপ শুভেন্দুর
এর আগে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ বন্ধ কেন? উনি তো কথায় কথায় ট্য়ুইট করেন। উনি তো মিছিল বের করেন। শিলিগুড়িতে তিনি বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক। আমি কেন যেচে ঝগড়া করব। বাংলাদেশে ১৯৪৭ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৩৩ শতাংশ। ১৯৭১ সালে হিন্দু জন সংখ্যা নেমে হয় ২২ শতাংশে। ২০১১ নেমেছে ৮.২ শতাং। পশ্চিমবঙ্গে তালিবানদের হাতে ছেড়ে দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা সীমান্ত খুলে দিয়েছে। সেই সীমান্ত থেকে রোহিঙ্গারা এখানে আসছে। ১০০ দিনের কাজ সব বাংলাদেশিরা পাচ্ছে। তাঁর তথাকথিত দুধেল গাইদের নিয়ে একটি ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করছেন। পশ্চিমবঙ্গটাকে বাংলাদেশ বানাতে চায় ওরা। বাংলাদেশে বাঙালিরা থাকেন। দুর্গা উৎসব বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উৎসব। সেই দুর্গাপুজোকে শোকের উৎসবে পরিণত করেছেন সেখানকার জেহাদিরা। তার প্রতিবাদ আমরা করছি।"