বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটে কোনও প্রার্থী দেয়নি সমাজবাদী পার্টি। উল্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে সাপোর্ট করেছিলেন অখিলেশ যাদব। তৃণমূলের হয়ে প্রচারে এসেছিলেন এসপি সাংসদ জয়া বচ্চন। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের ভোটে কী করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? গোবলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যটিতে কী ভোটে লড়বে তৃণমূল? এই প্রশ্নই যখন ঘুরছে বাংলার রাজনীতির অলিন্দে ঠিক তখনই রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী তথা এসপি নেতা কিরণময় নন্দ দেখা করলেন তৃণূলনেত্রীর সঙ্গে। জানা যাচ্ছে অখিলেশ যাদবের দূত হয়েই এদিন কালীঘাটে মমতার বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন কিরণময়বাবু। তাঁর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি লখনউ যাচ্ছেন মমতা। পরে বারাণসীতেও ভারচুয়াল সভা করবেন তিনি।
মমতা-কিরণময় বৈঠক
১০ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফার ভোট। তার আগে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট করাই পাখির চোখ সমাজবাদী পার্টির। যোগী সরকারকে ধরাশায়ী করতে পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব এবার হাত ধরতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই কারণেই অখিলেশ যাদবের দূত হয়ে কলকাতায় হাজির কিরণময় নন্দ। মঙ্গলবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে করেন রাজ্যের প্রাক্তন মৎস্যমন্ত্রী। কিরণময়বাবু জানান, উত্তরপ্রদেশের ভোটে প্রার্থী দেবে না তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচার করবেন তৃণমূলনেত্রী। তারজন্য ৮ ফেব্রুয়ারি লখনউ যাবেন মমতা। সেখানে অখিলেশের সঙ্গে ভারচুয়াল সভা করবেন। পরে হবে সাংবাদির সম্মেলনও। ফেব্রুয়ারিতে ভোট প্রচারে বারাণসীতেও যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিরণময় নন্দের দাবি
কিরণময় নন্দ বৈঠক শেষে জানান, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াই করতে চায় সপা ও তৃণমূল। অখিলেশ যাদবও সেই ইচ্ছাই প্রকাশ করেছেন। রাম রাজ্যের নির্বাচনে তৃণমূল কোনও প্রার্থী না দিলেও সমাজবাদী পার্টিকে পূর্ণ সমর্থন জানাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অখিলেশ যাদবের যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী পারদ চড়ছে
করোনা আবহেই উত্তরপ্রদেশ ভোটের পারদ চড়ছে। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে মরিয়া সপা ও বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে মমতাকে সামনে রেখে যুদ্ধক্ষেত্রে নামতে চাইছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। বস্তুত, ২০২১ সালে বাংলায় বিধানসভা ভোটের সময় সপা নেত্রী জয়া বচ্চন এসেছিলেন এ রাজ্যে। তৃণমূলের হয়ে কলকাতায় প্রচার করেছিলেন তিনি। কিরণময় নন্দও প্রচার করেছিলেন তৃণমূলের সমর্থনে। নন্দীগ্রামে প্রচার করেছিলেন তিনি। ফলে, এ যেন বেশ খানিকটা ঋণশোধও তৃণমূলের এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।