scorecardresearch
 

কয়লা পাচার কাণ্ড: TMC বিধায়ককে শওকত মোল্লাকে CBI-তলব

সম্পত্তির হিসাব এবং ব্যাঙ্কের নথিও নিয়ে আসতে বলা হয়েছে শওকত মোল্লাকে। সিবিআই সূত্রের দাবি, আসানসোল থেকে নিয়ে আসা কয়লা পাচার করা হত গোটা রাজ্যে। সেই পাচার হওয়া এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে ক্যানিংও। সেই সূত্রেই বিধায়ক শওকত মোল্লার নাম উঠে এসেছে। 

Advertisement
শওকত মোল্লা। শওকত মোল্লা।
হাইলাইটস
  • কয়লা পাচার কাণ্ড
  • TMC বিধায়ককে শওকত মোল্লাকে CBI-তলব
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার সিবিআই তলব পেলেন ক্যানিং পূর্বে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। আগামী শুক্রবার তাঁকে নিজাম প্যালেসে আসতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্যান কার্ড, পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিও সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এর বাইরে সম্পত্তির হিসাব এবং ব্যাঙ্কের নথিও নিয়ে আসতে বলা হয়েছে শওকত মোল্লাকে। সিবিআই সূত্রের দাবি, আসানসোল থেকে নিয়ে আসা কয়লা পাচার করা হত গোটা রাজ্যে। সেই পাচার হওয়া এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে ক্যানিংও। সেই সূত্রেই বিধায়ক শওকত মোল্লার নাম উঠে এসেছে। 

কয়লা পাচার কাণ্ড

অন্যদিকে কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতায় গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ললিতের নির্দেশ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও সুরক্ষা কবচ দেওয়া হচ্ছে। তবে ED চাইলে নোটিশ জারি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। অভিষেককে সতর্কও করেছে মহামান্য আদালত। নির্দেশ, তাঁকে ডাকা হলে যেন কোনও ভাঙচুর বা প্রতিবাদ না হয়। সেরকম কিছু ঘটলেই সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হবে। পাশপাশি সেই শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী আদালতকে আশ্বাস দেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তে এবং জিজ্ঞাসাবাদে সমস্ত রকম সাহায্য করবেন। তবে কলকাতায় তাঁকে জিজ্ঞাাবাদের জন্য যে অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অভিষেকের আইনজীবীর এই সওয়ালের বিরোধিতা করেন ED-র আইনজীবী। তিনি জানান, কলকাতায় অভিষেক-রুজিরাকে জেরা করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, তাঁরা প্রভাবশালী। এর আগের বিভিন্ন জেরার সময় তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলার উদাহরণও দেন তিনি। 

অভিষেককে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

এরপরই মহামান্য আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া, অভিষেক ও রুজিরাকে কলকাতায় জেরা করবে ED। তবে শর্তও দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টার নোটিশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জেরা করতে পারবে। আর জেরা নিয়ে কোনও বিবাদ করা চলবে না। তাহলে আদালত তার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেবে। এর আগে কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়   এবং তাঁর স্ত্রী রপজিরাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় ইডি। বার কয়েক হাজিরাও দিয়েছেন সাংসদ অভিষেক। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ও দুই সন্তানের কারণে  কলকাতা থেকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে পারেননি রুজিরা। দিল্লিতে বারবার তলব নিয়ে ইডির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে যান সাংসদ অভিষেক। দাবি ছিল, দিল্লি নয়, কলকাতায় জেরা করা হোক। এই নিয়ে পাল্টা হাইকোর্টে গিয়েছিল ইডিও। দিল্লির উচ্চতর আদালতের রায় ইডির পক্ষেই যায়। এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। 

Advertisement

Advertisement