আর মাত্র সপ্তাহ দুয়েক। তারপরেই ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ। ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সব শিবিরই। স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী যে কেন্দ্রে, সেখানে লড়াইযে কতটা হাইভোল্টেজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের ব্যাপারে কোনও সংশয় না থাকলেও ভবানীপুরের ৮ ওয়ার্ডে সকাল-বিকাল প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জনসংযোগে অংশ নিচ্ছেন খোদ মমতাও। বুধবার বিকেলেই তৃণমূলপ্রার্থীর দেখা মিললো ভবানীপুরের গুরুদ্বারে। জনসংযোগ বাড়াতে এদিন ময়দানে নেমেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তার মাঝেই হাজির হয়েছিলেন হরিশ মুখার্জী রোডের গুরুদ্বারে। প্রসাদ হিসাবে জিলেপি ও লুাড্ডুও পাঠান।
West Bengal Chief Minister and TMC candidate from Bhabanipur (by-poll), Mamata Banerjee offers prayers at Gurudwara Sant Kutiya in Bhabanipur pic.twitter.com/vD08fixIoq
— ANI (@ANI) September 15, 2021
গুরুদ্বারে সকলের সঙ্গে হাসিখুশি মুডে জনসংযোগ বাড়াতে দেখা যায়। ফুল দিয়ে তাঁকে অর্ভ্যত্থা জানানো হয়। চারটে নাগাদ তিনি হাজির হন গুরুদ্বারে। সেখানেই পঞ্জাবে কৃষক আন্দোলনের প্রতি নিজের সমর্থনের কথা ফের একবার বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, তিনি সব সময় কৃষকদের পাশে আছেন এবং তাদের দাবিকে সমর্থন করেন। রবীন্দ্রনাথও জনগণমন গান পঞ্জাব দিয়ে শুরু ও বাংলা দিয়ে শেষ, সেই কথাও তোলেন তিনি। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরার গুরুদ্বারে যাওয়ার প্রসঙ্গও তুলে আনেন মমতা। বলেন, অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে তাঁর যাওয়ার ইচ্ছে আছে। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার গণেশ চতুর্থীর দিন ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন মহারাষ্ট্র নিবাসে গণেশ মূর্তির সামনে প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছিল মমতাকে। সোমবার নবান্ন থেকে ফেরার পথে নিজের বিধানসভা এলাকার একবালপুরের ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে ষোলআনা মসজিদে হাজির হতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে প্রচারে বেরিয়ে এবার জনসংযোগে জোর দিচ্ছেন। এলাকায় ঘুরে ঘুরে জনসংযোগ চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে কুশল বিনিময় করছেন। বুঝিয়ে দিচ্ছেন আমি তোমাদেরই লোক। জনসংযোগের পাশাপাশি কর্মীদের সঙ্গে আড্ডাও দিচ্ছেন মমতা। একেবারে পাড়ায় পাড়ায় আড্ডার মেজাজে পাওয়া যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। খিদিরপুরের ২৫-এর পল্লি দুর্গাপুজো যে পাড়ায় হয় সেখানেও যেমন তিনি যাচ্ছেন, তেমনি যাচ্ছেন ১৬ আনা মসজিদ এলাকাতেও। বুধবার হাজির হলেন গুরুদ্বারে। অর্থাৎ সুচারু ভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতীরি বার্তা দিচ্ছেন মমতা। নন্দীগ্রামেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল একই প্রচার পদ্ধতি নিতে। প্রসঙ্গত ভবানীপুরে ৪০ শতাংশ অবাঙ্গালি ভোটার। এই ৪০ শতাংশ গুজরাতি, পাঞ্জাবি এবং বিহারি ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। এদিন গুরুদ্বারে পুজো দিয়ে ফের প্রচার শুরু করেন মমতা। জানা যাচ্ছে প্রতিদিনই ভবানীপুরে প্রচারে ময়দানে নামবেন তিনি।
গত শুক্রবার গণেশ চতুর্থীর দিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন থেকে ফেরার পথে হাজির হন নিজের বিধানসভা এলাকায়। ঘরের মেয়ে প্রচারে বেরিয়ে জনসংযোগে জোর দিয়েছেন। এলাকায় ঘুরে ঘুরে জনসংযোগ চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে কুশল বিনিময় করছেন। বুঝিয়ে দিচ্ছেন আমি তোমাদেরই লোক। জনসংযোগের পাশাপাশি কর্মীদের সঙ্গে আড্ডাও দিচ্ছেন মমতা। একেবারে পাড়ায় পাড়ায় আড্ডার মেজাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খিদিরপুরের ২৫-এর পল্লি দুর্গাপুজো যে পাড়ায় হয় সেখানেও যেমন তিনি যাচ্ছেন, তেমনি যাচ্ছেন ১৬ আনা মসজিদ এলাকাতেও। অর্থাৎ সুচারু ভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতীরি বার্তা দিচ্ছেন মমতা। নন্দীগ্রামেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল একই প্রচার পদ্ধতি নিতে।