scorecardresearch
 

সারদা কাণ্ড! কুণাল-শতাব্দী-দেবযানীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ED-র

এখনও পর্যন্ত আর্থিক তছরূপ মামলার এই তদন্তে মোট ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কুণাল ঘোষ ইতিমধ্যেই ৩৪ মাস জেল খেটেছেন। ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর তিনি জামিনে মুক্ত হন।

Advertisement
কুণাল ঘোষ ও শতাব্দী রায় কুণাল ঘোষ ও শতাব্দী রায়
হাইলাইটস
  • কুণাল ঘোষের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
  • শতাব্দী রায়ের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করল ইডি
  • কুণাল ছিলেন সারদার গ্রুপ মিডিয়ার সিইও

সারদা চিট ফান্ড কাণ্ডে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, সাংসদ শতাব্দী রায় ও সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সহযোগী দেবযানী রায়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বা (ED)। আজ অর্থাত্‍ শনিবার ট্যুইট করে জানাল ইডি। 

ই়ডি-র ট্যুইটে জানানো হয়েছে, কুণাল ঘোষের ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও কয়েক দিন আগেই কুণাল সারদা থেকে পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।  এক সময় কুণাল ও শতাব্দী দুজনেই সারদা গোষ্ঠীতে কর্মরত ছিলেন। শতাব্দী ছিলেন তাঁদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, আর কুণাল ছিলেন সারদার গ্রুপ মিডিয়ার সিইও। আর দেবযানী রায় ছিলেন সারদা কর্তা  সহযোগী। 

আরও পড়ুন: সারদা বিতর্ক থেকে অনুব্রতকে নিশানা, দেখুন ভিন ট্র্যাকে 'শতাব্দী এক্সপ্রেস' 

এখনও পর্যন্ত আর্থিক তছরূপ মামলার এই তদন্তে মোট ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কুণাল ঘোষ ইতিমধ্যেই ৩৪ মাস জেল খেটেছেন। ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর তিনি জামিনে মুক্ত হন।

সারদা চিটফান্ড কাণ্ড সামনে আসার পরে ২০১৩ সালে সাসপেন্ড করা হয়েছিল প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকে।  

ইডি-র এই পদক্ষেপকে কেন্দ্রের প্রতিহিংসামূলক আচরণ বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে বাগে আনার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যের মানুষ সব দেখছেন। যথা সময় তাঁরা এই রাজনীতির জবাব দেবে।

Advertisement

একটি সংবাদমাধ্যমকে ইডি-র ট্যুইট প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, 'ইডি আমার কোনও সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করেনি। আমি স্বেচ্ছায় ২০১৩ সাল থেকে বেতন ও বিজ্ঞাপন বাবদ পাওয়া টাকা আমি ফিরিয়ে দিয়েছি। যার সবটাই আয়কর দেওয়া বৈধ টাকা। আমি স্বেচ্ছায় যা যা দিয়েছি সেটাই ইডি গ্রহণ করেছে বলে আমার ধারণা। এর বাইরে আমার কোনও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। আমি দেখলাম ইডি শতাব্দী রায়ের নামও জানিয়েছে। কিন্তু ভোটের মুখে এই দু’টি নামকেই বাছা হল কেন আমার তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। আমি যতটা জানি মিঠুন চক্রবর্তীও নাকি কিছু টাকা ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর নাম জানায়নি ইডি।'

Advertisement