সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'এক ব্যক্তি এক পদ'-র প্রচার অনুমোদন করে না দল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম। বার্তা দিলেন, বিভ্রান্তিকর পোস্ট মুছে দিতে বলব। সেই সঙ্গে তিনি বলেন,'সভানেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেত্রী নেবেন সেটাই কার্যকর হবে। দলনেত্রীর অনুমোদন নিয়ে বলছি, দল এই প্রচার সমর্থন করে না।'
রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র এ দিন জানান,'সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ক্যাম্পেন চলছে, তা অনুমোদন করছে না দল। সভানেত্রী দল চালানোর জন্য যখন যা দরকার তখন তা করবেন। নীতি বদলও করতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এই প্রচার দলের স্বার্থের পরিপন্থী।' তিনি যোগ করেন,'সভানেত্রীই দলের নীতি পরিবর্তন করতে পারেন। নতুন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভানেত্রী হওয়ার পর নতুন নীতি প্রণয়ন করবেন। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই আমরা মাথা পেতে নেব।'
এক ব্যক্তি এক পদ' নীতির সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের যুব নেতারা। সুদীপ রাহা, দক্ষিণ কলকাতা যুব তৃণমূলের সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের ফেসবুক পোস্টে জ্বলজ্বল করছে,'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতিকে সমর্থন করছি।' #OnePersonOnePost ট্রেন্ডিং হয়েছে টুইটারে। তাতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এনিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিকতম মন্তব্যও। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে বলতে শোনা গিয়েছে,'রাজ্যস্তরের নেতারা একাধিক পদে আছেন। ভরসা রাখুন আস্তে আস্তে হবে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি। আমার নয়।'
অন্যদিকে, এক পদ এক নীতির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রীই। কিন্তু কলকাতা পুরভোটে সেই নিয়মে ব্যত্যয় ঘটে। মমতার হস্তক্ষেপেই ফিরহাদ-সহ ৫ বিধায়ক প্রার্থী হন। নেত্রীর ইচ্ছাতেই পরিবহণমন্ত্রকের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়রের দায়িত্বও পান ফিরহাদ। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ব্যক্তি এক পদ-র প্রচার নেত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে খুশি নন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, নেত্রীর নির্দেশেই 'এক ব্যক্তি এক পদ' সমর্থনে পোস্টগুলির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- 'আরেকটা ২০১৯ সময়ের অপেক্ষা,' দেবাংশুর পোস্ট