কালীপুজোর (Kali Puja) আগে ধুমধাম করে আয়োজন করা বাজি বাজারের (Fire Cracker Market) ঐতিহ্য এখন মৃত্যুমুখে। একেতেই কোভিড পরিস্থিতি, তারওপর আদালতে মামলা, দুইয়ের কাঁটায় বিদ্ধ এবছরের বাজির বাজার। এরপর আবার বাজি বাজারের আয়োজন করতে যে খরচ, সেই খরচ তুলতে কালঘাম ছুটবে মেলা আয়োজকদের, এমনটাই জানাচ্ছেন আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়।
কালীপুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। কোভিড পরিস্থিতিতে গতবছর বাজি বাজারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্যবসায়ীরাই। তবে এবার পরিস্থিতি খানিকটা বদলেছে। কোভিড বিধি মেনে হয়েছে দুর্গাপুজো। মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়। তবে বাজি বাজার কেন নয়? একেতেই বাজির ব্যবসা তলানিতে ঠেকেছে। এবছর পরিস্থিতি আরও কঠিন। বাজি বাজারের বিদ্যুতের খরচ যদি সরকার মকুব করে তবেই আয়োজন করা সম্ভব, বলে জানান বাবলা রায়।
কলকাতায় মোট পাঁচটি বড় বাজির মেলা হয়। উত্তর, দক্ষিণ, মধ্যে কলকাতা মিলিয়ে শহিদ মিনার ময়দান, টালা পার্ক, বেহালা, কালিকাপুর এবং বিজয়গড়ের এই পাঁচ জায়গায় বসে বাজির মেলা। এরমধ্যে মূল মেলাটি আয়োজন হয় শহিদ মিনার ময়দানে। এই ব্যবসায় জড়িত আছেন প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ মানুষ। বাজির মেলা বন্ধ হলে টান পড়বে তাঁদের রুটিরুজিতে।
গতবছর করোনার জন্য পরিবেশ দূষণের কারণে নিষিদ্ধ ছিল বাজি। শব্দবাজিতে কড়া বিধি থাকলেও 'গ্রিন ফায়ার ক্রাকার্স' যাতে বিক্রি করা হয় তা নিয়েই আশায় মুখ বাঁধছেন আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি। এই মুহূর্তে ৩০০ টন 'গ্রিন ফায়ার ক্রাকার্স' তৈরি হয়েছে। তবে তা বিক্রি কি হবে? চিন্তায় ব্যবসায়ী সমিতি। তবুও, প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে সাহায্য চাই প্রশাসনের। তাঁদের দাবি, কলকাতায় দূষণ বেশি থাকায়, কলকাতা বাদে যাতে সারা বাংলায় বাজি বিক্রি হয় এই দাবিই রাখবেন তাঁরা।