বিএসএফ ইস্যুত এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিএসএফের ক্ষমতা আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে রাজ্যের ৫০ কিমি পর্যন্ত করে দেয়। তারপরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে বলেন, "স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে কাজ করতে পারে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু বিএসএফ স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার তেমন সুযোগ পান না। সেই সঙ্গে ঘনঘন বদলি হওয়ায় সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী থাকে না। তাই রাজ্য পুলিশ বেশি কার্যকর সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে।"
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সহ তিন রাজ্যে বিএসএফের ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এতোদিন তাঁরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকেএই ৩ রাজ্যের ভারতীয় ভূখণ্ডের ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত কাজ করতে পারত। এবার সেই পরিধি বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এবার থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফ তল্লাশি, গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারবে। বিষয়টি সামনে আসতেই বিরোধিতার সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন কুণাল ঘোষ ট্যুইট করে বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যেভাবে বিএসএফের কর্মক্ষেত্র সীমান্ত থেকে ১৫ কিমির বদলে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করল, তা প্রতিবাদযোগ্য। এটা রাজ্যের অধিকারভুক্ত এলাকায় পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো। তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে। যথাযথভাবে বক্তব্য জানানো হবে।" পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি বলেন,"বিএসএফকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তিহীন এবং সরাসরি ফেডারেল কাঠামোর ওপর আক্রমণ। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করছি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে।" অপরদিকে ট্যুইট করে বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এতোদিন বিএসএফের ক্ষমতা গুজরাতের ক্ষেত্রে ৮০ কিলোমিটার, রাজস্থানে ৫০ কিলোমিটার, পঞ্জাব, আসাম এবং বাংলায় ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল। আইন সংশোধনে সেই ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল।