হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ১৮৭ জনকে ইন্টারভিউয়ে ডাকল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানিয়েছে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আচার্য ভবনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাতে মোট ১৮৭ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওইদিন সমস্ত নথি নিয়ে চাকরি প্রার্থী আচার্য ভবনে পৌঁছতে হবে। সেখানেই নথি যাচাই করে নেবেন পর্ষদ কর্তারা। নিয়ম অনুযায়ী ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষাও হবে ওই দিন। গোটা প্রক্রিয়া চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। পৃথক ৬টি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাকারীরা আর্জি করেছিলেন,৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। তার উত্তর দিয়েছিলেন তাঁরা। ফলে ওই প্রশ্নগুলির পুরো নম্বর তাঁদের প্রাপ্য। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ তৈরি হয় একটি বিশেষজ্ঞ দল। তাঁরা অনুসন্ধান করে হাইকোর্টকে রিপোর্ট দেয়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলি ভুল ছিল। তাই পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়ে। এই মামলাকারীদের বাড়তি নম্বর দেওয়ার বিষয়টি পর্ষদকে বিবেচনা করতে বলে হাইকোর্ট। পরের বছর ডিসেম্বরে সোহমদের ৬ নম্বর দেয় পর্ষদ। টেট উত্তীর্ণ হন তাঁরা। স্বাভাবিক তাঁরাও চাকরির দাবিদার হয়ে ওঠেন।
পর্ষদ জানায়, ভুল হয়েছিল। কিন্তু শূন্যপদ না থাকায় নিয়োগ করা সম্ভব নয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ৬ বছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি নির্দেশ দেন,২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রথম ধাপে ২৩ জনকে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। শূন্যপদ না থাকলে তা তৈরি করে এই ১৮৭ জনকে নিয়োগ করতে হবে বলে জানান বিচারপতি। সেই সময়সীমার মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পর্ষদ।
আরও পড়ুন- জামিন-আর্জি খারিজ আদালতের, সিবিআই হেফাজতে পার্থ-কল্যাণময়