হিন্দুরাষ্ট্র কী? শীর্ষক আলোচনায়, ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়, লেখক ও ইতিহাসবিদ হিন্দোল সেনগুপ্ত ও বরিষ্ঠ সাংবাদিক আশুতোষ নিজেদের মত প্রকাশ করলেন। 'সাহিত্য আজতক কলকাতা ২০২৪'-এর মঞ্চে হিন্দুরাষ্ট্রের কনসেপ্ট খোঁজার চেষ্টা হল। হিন্দুরাষ্ট্র নিয়ে তথাগত রায়ের বক্তব্য, হিন্দুত্বরাষ্ট্র হল এমন এক রাষ্ট্র, যা হিন্দুত্বের উপর ভিত্তি করে গঠিত। হিন্দুত্বের প্রবর্তন করেছিলেন মণীষী চন্দ্রনাথ বসু। পরবর্তীকালে হিন্দুত্বকে তুলে ধরেন বিনায়ক সাভারকর। হিন্দুত্বের বেসিক ধারণা হল, যাঁরা এই ভারতভূমিকে মাতৃভূমি ও পূণ্যভূমি মানেন, সেটাই হিন্দুত্ব। এর সঙ্গে ধর্মীয় আচারের কোনও সম্পর্ক নেই।
তথাগতর কথায়, 'পূর্ব পাকিস্তানে যখন হিন্দুদের গণহত্যা করা হচ্ছিল, সেই সময় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও সর্দার প্যাটেল বলেছিলেন, এই অবস্থা বন্ধ করুন। নেহরু কোনও পদক্ষেপ করেননি। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে হিন্দুদের খুন করা হল। পাকিস্তান আছে, ইসলাম আছে। হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয়েছে। কিন্তু হিন্দুরা কখনও ভিন ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার করে না।'
লেখক হিন্দোল সেনগুপ্ত জানালেন, প্রতিটি রাষ্ট্রের একটি কনসেপ্ট থাকে। একটি নিজস্ব সংস্কৃতি থাকে। তখন প্রশ্ন ওঠে, ভারতের নিজস্ব সংস্কৃতি কী? ভারতের সাংস্কৃতিক ভিত্তি হল, বেদ, উপনিষদ। এগুলিই যখন রাজনীতির সঙ্গে মিলে যায়, তখন রাজনৈতিক হিন্দুত্ব তৈরি হয়।
অন্যদিকে, সাংবাদিক ও লেখক আশুতোষের বক্তব্য, হিন্দুত্ব আসলে একটি রাজনৈতিক বিচারধারা। হিন্দু ধর্মকে শিখণ্ডী করে রাজনীতি করাকেই হিন্দুত্বের রাজনীতি বলে। ধর্মের নামে রাজনীতিই হল হিন্দুত্বের রাজনীতি। হিন্দু ধর্মের মানে হল, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা।
দিল্লির বাইরে গত বছরই প্রথমবার অন্য কোনও মহানগরে পৌঁছয় 'সাহিত্য আজতক কলকাতা'। প্রথমবারেই ব্যাপক সাফল্য। কলকাতা এবং সাহিত্য-প্রেমীদের মধ্যে অনন্য উত্সাহ। ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার স্বভূমি, দ্য হরিটেজে দুই আলাদা বিশাল মঞ্চে এক সঙ্গে বাংলা এবং বেশ কয়েকজন জাতীয়-আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের তাবড় ব্যক্তিত্বের লাইভ পারফর্ম্যান্স এই অনুষ্ঠানের একটি আলাদা আকর্ষণ। সাহিত্য আজতক কলকাতা-র দুই মঞ্চের সব অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা যাবে bangla.aajta.in ওয়েবসাইটে।