শীতের আগমনী বার্তা এসে গেছে। শীতকালে মেটাবলিজম দুর্বল হতে শুরু করে। কারণ এই সময় মানুষের শারীরিক কাজ অনেকটাই কমে যায়। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সময় কীভাবে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে মানুষের হৃদপিণ্ডে অনেক পরিবর্তন ঘটে। হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, ঘাম কমে হয় এবং রক্তও ঘন হয়ে যায়। যার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে প্রচন্ড ঠান্ডায় রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া এবং হার্টের ধমনী সঙ্কুচিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। জানুন কীভাবে শীতের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাবেন।
অতিরিক্ত ব্যায়াম
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় অনেক বেশি শারীরিক পরিশ্রম করলে ক্ষতি হয় বেশি। খুব কঠিন ব্যায়াম করলে হার্টের বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বছরের এই সময়ে এমনীতেই হার্টের চাপ বেশি থাকে। ঠান্ডার কারণে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয় এবং রক্ত চলাচল কমে যায়। সেক্ষেত্রে হার্টে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে, সেই ব্যক্তির ঘাম বেশি হয়। আর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গরম জামাকাপড়
শীতকালে আমাদের রক্ত ঘন হয়ে যায়। যার কারণে ফুসফুস, পায়ের শিরা এবং হার্টে জমাট বাঁধার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া স্ট্রোকের আশঙ্কাও থাকে। শীতকালে মাল্টিলেয়ার পোশাক অর্থাৎ কয়েক স্তরের গরম জামাকাপড় পরা উচিত। যাতে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার ক্ষেত্রে আমাদের শরীর নিরোধক থাকে।
পানীয়
চিকিৎসকেরা বলছেন, আমাদের নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত। কারণ এই মরসুমে সবার রক্তচাপ বেড়ে যায়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সবার রক্তচাপ পরিবর্তিত হয়। গ্রীষ্মকালে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমরা যেসব ওষুধ ব্যবহার করি, শীতকালে সেগুলোর পরিমাণ বা ডোজ বাড়াতে হয়। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জল, জ্যুস ইত্যাদি পানীয় যতটা সম্ভব গ্রহণ করা উচিত।
ব্লাড সুগার বেড়ে যায়
শীতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও, আমাদের কার্যকলাপ হ্রাস পায়, যার কারণে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড সুগারও হার্ট অ্যাটাকের বড় কারণ। প্রতিনিয়ত আপনার ওজনের দিকে নজর রাখতে হবে। আপনার খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা উচিত কারণ রক্তে শর্করা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে।