গ্রীষ্মে আম ভালোবাসে না, এরকম খুব কম মানুষ আছেন। আমে ভিটামিন এ, বি, সি,ই,কে - ছাড়াও প্রয়োজনীয় খনিজ থাকে। এছাড়াও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী, সেটাও থাকে আমে। তবে অনেকের অজানা অত্যাধিক পরিমাণে আম খাওয়া অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই আম খাওয়ার সময় কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন, দেখে নিন।
যেহেতু আমে অত্যাধিক পরিমাণে শর্করা থাকে, তাই ডায়বেটিস রোগীদের সাবধান হওয়া দরকার। বেশি পরিমাণে আম খেলে ব্লাড সুগার বাড়তে পারে।
আম গ্রীষ্মের ফল হলেও এটা কিন্তু শরীর গরম করে দেয়। তাই বেশি আম খেলে মুখে ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। যারা রূপ কিংবা ত্বক সচেতন, তাঁরা বেশি পরিমাণে আম খাবেন না।
ভাল করে না ধুয়ে খেলে, আমের মধ্যে থাকা পোকা বা ব্যক্টেরিয়া, শরীরের নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। চুলকানি, ব্যথা, সেই স্থান ফুলে যাওয়া এই সমস্যাগুলি এড়াতে আম খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে নিন।
এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই অতিরিক্ত আম খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে পেটের যন্ত্রণা, ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
আম অত্যন্ত বেশি ক্যালোরিযুক্ত ফল। একটি মাঝারি আকারের আমে প্রায় ১৩৫ ক্যালোরি থাকে। তাই বলাই বাহুল্য বেশি আম খেলে ওজন বাড়তে শুরু করে।
অনেকের আমে অ্যালার্জি থাকে। এই ফল খাওয়া মাত্রই তাঁদের চোখ ও নাক থেকে জল পড়া, শ্বাসকষ্ট, ব্যাথা, হাঁচি, সর্দি, ইত্যাদি হতে থাকে। এইরূপ কোনও সমস্যা বুঝলে আম খাওয়া বন্ধ করুন।