Diabetes Warning Signs: ডায়াবেটিস হলে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে। যখন রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যায়, তখন এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে যায়, কারণ এটি স্নায়ুতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি বহনকারীর ক্ষমতা ক্ষতি করে। এ জন্য যা করা প্রয়োজন তা হল, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। শরীর ছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বকেও এর লক্ষণ দেখা যায়, যেমন ডার্ক সার্কেল, ত্বক আলগা হয়ে যাওয়া এবং চোখ ফুলে যাওয়া। এই সমস্ত জিনিস ইঙ্গিত দেয় যে আপনার শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি।
যখন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়, তখন ত্বকে অনেক পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে।
ডায়াবেটিসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ- ত্বকের শুষ্কতা ডায়াবেটিসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে একটি। এটি ঘটে কারণ রক্তে শর্করা কোষ থেকে তরল বের করতে শুরু করে। শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি দূর করতে শরীর প্রস্রাব তৈরি করে। শরীর থেকে চিনি বের করার জন্য জল প্রয়োজন এবং পর্যাপ্ত জল না পাওয়ার কারণে জলশূন্যতার সমস্যা শুরু হয়। যে কারণে ত্বকে ঝুলে যাওয়া এবং চোখে ফোলাভাব দেখা দেয়।
ডায়াবেটিস গ্লাইকেশন প্রক্রিয়ার ক্ষতি করে। এর ফলে ত্বক থেকে স্ট্রেচ কমতে শুরু করে এবং চোখের চারপাশে কালো দাগ দেখা দেয়। কম স্ট্রেচের কারণে ত্বক খুব আলগা হয়ে যায়। এছাড়াও, ত্বকে ডায়াবেটিসের অন্যান্য লক্ষণও দেখা যায়।
ঘাড়ের চারপাশের ত্বক কালো হয়ে যাওয়া- যদি আপনার ঘাড়ের চারপাশের ত্বকের রং কালো হতে শুরু করে তাহলে আপনার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে গেছে। এর নাম হল অ্যাক্যানথোসিস নিগ্রিকানস। অ্যাকান্থোসিস নিগ্রিক্যানসও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
ত্বকে ছাল বেরোনো- এটা খুব কম মানুষেরই হয়, তবে ডায়াবেটিস রোগীদেরও ত্বকে আলসারের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এই রোগে শরীরের যেকোনো অংশে ছাল বের হতে থাকে। ত্বক পুড়ে যাওয়ার পর যে ছাল বের হয় তার তুলনায় এর ব্যথা কম হয়। তবে এগুই অনেক বড় আকৃতির হয়।
ত্বকের সংক্রমণ- ডায়াবেটিস রোগীদেরও ত্বকের সংক্রমণের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ডায়াবেটিসজনিত এই ত্বকের সংক্রমণ শরীরের যেকোনও অংশে হতে পারে।
ত্বক শক্ত হওয়া- ডায়াবেটিসের কারণে আপনার শরীরের কিছু অংশের ত্বক খুব শক্ত বা শক্ত হয়ে যায়, যে কারণে নড়াচড়ায় অনেক সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে আঙুলের ত্বক পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে, হাঁটু, কনুই এবং গোড়ালির চারপাশের ত্বক খুব শক্ত হয়ে যায়। যে কারণে কখনও কখনও আপনার হাত-পা বাঁকা বা সোজা করতে অসুবিধা হয়।