scorecardresearch
 

Home Remedies For Insomnia: ঘুম আসছে না রাতে? এই ৮ টোটকায় পান অনিদ্রা থেকে মুক্তি

 ঘুম শরীরের জন্য খুবই দরকারি। ভাল ঘুমের অভাব হলে শরীর ভাঙতে শুরু করে। কাজে মন লাগে না। চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। অনেকেই জানেন না, হার্ট সুস্থ রাখার জন্য পরিমিত ঘুম দরকার।অপর্যাপ্ত ঘুম খিটখিটে মেজাজের কারণও হতে পারে। এমনকি ওজনও বাড়িয়ে দেয়। তাই অনিদ্রা অবহেলা করা উচিত নয়।

Advertisement
ঘুমের প্রতিকার। ঘুমের প্রতিকার।
হাইলাইটস
  •  ঘুম শরীরের জন্য খুবই দরকারি। ভাল ঘুমের অভাব হলে শরীর ভাঙতে শুরু করে।
  • কয়েকটি জিনিস ডায়েটে সামিল করলেই চট করে চলে আসবে ঘুম।   

সারাদিন অফিসে ৯-১০ ঘণ্টার কাজ। তার বাড়ি ফেরা। বাসের ধাক্কা। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ। রাতে ঘুম আসে না। নানা চেষ্টা করেও অনিদ্রায় কাটাতে হয়। অথচ ঘুম শরীরের জন্য খুবই দরকারি। ভাল ঘুমের অভাব হলে শরীর ভাঙতে শুরু করে। কাজে মন লাগে না। চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। অনেকেই জানেন না, হার্ট সুস্থ রাখার জন্য পরিমিত ঘুম দরকার।অপর্যাপ্ত ঘুম খিটখিটে মেজাজের কারণও হতে পারে। এমনকি ওজনও বাড়িয়ে দেয়। তাই অনিদ্রা অবহেলা করা উচিত নয়। কয়েকটি জিনিস ডায়েটে সামিল করলেই চট করে চলে আসবে ঘুম।   

১। বাদাম- বাদাম ভাল ঘুমের জন্য অব্যর্থ দাওয়াই। দুধের মতো, বাদামেও ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে শান্ত করে। এছাড়া বাদামে থাকা ম্যাগনেশিয়াম হার্টকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক।

২। ডার্ক চকোলেট- ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন ঘুমোনোর আগে। ডার্ক চকোলেটে সেরোটোনিনও রয়েছে, যা মন এবং স্নায়ুকে শান্ত করে। ভাল ঘুমের সহায়ক।

৩। কলা- কলায় পেশী শিথিলকারী ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম রয়েছে। কলায় থাকা ভাল কার্বোহাইড্রেট স্বাভাবিকভাবে ঘুমে সহায়ক। তাই রাতে ঘুমের আগে একটা কলা খেয়ে নিতে পারেন। 

৪। উষ্ণ দুধ- ভারতীয় পরম্পরায় রাতে দুধ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। দুধও ঘুমের জন্য সহায়ক। দুধে থাকে ট্রিপটোফ্যান। যা একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়। সেরোটোনিনের মস্তিষ্ককে শান্ত করে তোলে। ফলে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন কোনও ব্যক্তি। জায়ফল, জাফরান এবং কিশমিশও দুধের সঙ্গে মেশানো যেতে পারে।

৫। চেরি- চেরিতে থাকে মেলাটোনিন। এই হরমোন ঘুম-জেগে থাকার চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। চেরি মানসিক অবসাদ এবং চাপ কাটাতে খুবই উপকারী। ১০-১২টি চেরি খেলে ভাল ঘুম আসে। 

শোওয়ার আগে যা করবেন- 

- মোবাইল, ল্যাপটপ বা প়ড়ার বই নিয়ে বিছানায় বসে থাকলে ঘুমের সময় কমিয়ে দিতে পারে। তাই সময় বেঁধে নিন।পড়াশোনার টেবিলেই  কাজ করুন। কাজ শেষ হলে বিছানায় চলে যান। বিছানায় শুয়ে মোবাইল বা ল্যাপটপ ঘাঁটবেন না।

Advertisement

- রুটিন মেনে চলুন। প্রতিদিন সময়মতো ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমোতে যাওয়ার সময় ঠিক করা দরকার। শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লকে অভ্যস্ত হয়ে উঠলে ঘুম সময়ে চলে আসে।

- শোওয়ার জায়গা আরামদায়ক রাখুন। ঘরের সব আলো নিভিয়ে দিন। জানালা বন্ধ করে দিন বা পর্দা টেনে দিন যাতে বাইরের আলো চোখে না পড়ে। 

আরও পড়ুন- এই মশলাগুলি মহাষৌধি, অনিদ্রা, ব্য়থা থেকে ওজন কমানোর ৭ টোটকা

Advertisement