মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য আপনি প্রতিদিন সময় করে ধ্য়ান করতে পারেন, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে পারেন এবং প্রিয় কাজে বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারেন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে দায়িত্বভারও৷ আচমকাই একদিন নিজেদেরকে অগুছলো মনে হয়৷ শেষ অবধি নিজেদের জন্যই কোনও সময় বরাদ্দ থাকে না৷ বিশেষ করে চাকরি তে যাওয়া মেয়েরা ঘরে বাইরে সামলাতে গিয়ে এই সমস্যায় আরও বেশি করে পড়েন৷ পেশার জগতে কর্মদক্ষতা দেখাতে গিয়ে অবহেলিত হয় সংসার৷ আবার সংসারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মিস অফিসের ডেডলাইন৷ পেশাদার দুনিয়া এবং সংসার ম্যানেজ করার টিপস খুঁজতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে যান অধিকাংশ মহিলা৷
দায়িত্ববান ব্য়ক্তি হিসেবে ব্যক্তিগত এবং পেশাদার দুনিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন৷ এই দুই জিনিসকে ভিন্ন জায়গায় রাখতে পারে। কিন্তু করোনা চলাকালিন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নতুন জীবনচর্চায় সেটা হয়তো সম্ভব নয়৷ তবুও যতটা সম্ভব সীমারেখা বজায় রাখতে হবে৷ দুই ভিন্ন অবস্থা মিলিয়ে ফেললে চলবে না৷ আবার কোনও জায়গা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে ফেললেও চলবে না৷ নিজে একান্তই সমাধান করতে না পারলে কথা বলুন ঘনিষ্ঠ কারওর সঙ্গে৷ সমস্যা এবং কাজের দায়িত্ব ভাগ করে নিন৷ সমাধানসূত্র পাবেন, সেইসঙ্গে কমবে মনের ভারও৷
কাজের সূচি তৈরি করে নিন৷ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লিখে রাখুন পরের দিন কখন কোনটা করবেন৷ তাহলে উদ্বেগমুক্ত হয়ে সুষ্ঠু হয়ে সব কাজ করতে পারবেন৷ পরিবারের বাকিদের কাজের সঙ্গে মিলিয়ে সূচি তৈরি করুন৷ তাহলে সব কাজের মধ্যেও শৃঙ্খলা থাকবে৷
অধিকাংশ সমস্যার মূল সমাধান হল যোগাযোগ ৷ পরিবার এবং কাজের জায়গায়, আপনার চারপাশে যাঁরা আছেন তাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলুন৷ নিজের ব্য়াপের আলোচনায় সমাধান হয় না এমন সমস্যা বিরল৷ বরং যোগাযোগের অভাবে জীবন আরও জটিল হয়ে ওঠে৷ ঘরে ও বাইরে, দু’ জায়গাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় আপনার কর্মদক্ষতা৷
যে কোনো কাজ করুন তা বাড়ি অবধি না এনে সেটি অফিসেই মিটিয়ে আসুন। তাছাড়াও এই নিয়ে বাড়িতেও কথা বলতে পারেন এতে কমতে পারে মানসিক চাপ। কর্মক্ষেত্র ছাড়াও নিজের জন্য় আলাদা করে সময় বেড় করুন এবং আপনার পচ্ছন্দের কাজ করুন।