সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, বছরের তিনটি মাস গর্ভবতী (Pregnant) মহিলাদের মধ্যে গর্ভপাতের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। আমেরিকান গবেষকদের একটি টিম আট বছর ধরে পরিচালিত একটি গবেষণায় ৬ হাজার মহিলার গর্ভধারণের ট্র্যাক করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে মিসক্যারেজের হার সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও, আগস্ট মাসে গর্ভপাতের হার ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি পাওয়া গেছে।
গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে গর্ভপাতের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার ৮ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে দেখা যায়। এই সময়, ভ্রূণের আকার একটি চেরির মতো ছোট হয়।
এপিডেমিওলজি জার্নালে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থার যেকোনো সপ্তাহে গর্ভপাতের ঝুঁকি ফেব্রুয়ারির শেষের তুলনায় আগস্টের শেষে ৩১ শতাংশ বেশি ছিল।
বিশেষজ্ঞ বলেন, যেসব নারী খুব বেশি গরমে বসবাস করেন তাদের ক্ষেত্রে মিসক্যারেজের ঝুঁকি অনেক বেশি। যদিও বিশেষজ্ঞরা এখনও নিশ্চিত নন যে গরম তাপ গর্ভাবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু তারা বিশ্বাস করেন যে গরমের কারণে গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে জলের অভাবের কারণে প্ল্যাসেন্টার বিকাশে খারাপ প্রভাব পড়ে। এছাড়াও জরায়ুতে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হয় না, যে কারণে অন্যান্য ঋতুর তুলনায় গ্রীষ্মকালে মিসক্যারেজের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
তবে এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও বলছেন গবেষকরা।
গর্ভাবস্থার প্রথম ২৩ সপ্তাহে গর্ভপাত ঘটে। গর্ভপাতের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে যোনিপথে রক্তপাত, তলপেটে ব্যথা। অনেক ক্ষেত্রে, মহিলারা জানেন না যে তারা গর্ভবতী এবং তাদের মিসক্যারেজও হয়েছে।
আবার, তিনটির বেশি মিসক্যারেজকে অস্বাভাবিক বলে মনে করা হয় এবং প্রায় ১% নারীকে এটি প্রভাবিত করে। চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে বেশিরভাগ মিসক্যারেজ শিশুর অস্বাভাবিক ক্রোমোজোমের কারণে হয়। গর্ভপাত প্রতিরোধ করা যায় না, তবে গর্ভাবস্থায় ধূমপান, অ্যালকোহল এবং ড্রাগ ব্যবহার এড়ালে ঝুঁকি কমতে পারে।