Smoking Cigarette Side Effects : যাঁরা সিগারেট খান, তাঁদের অধিকাংশই এই ভুল ধারণার শিকার যে সিগারেট মানসিক চাপ দূর করে। পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সিগারেট ধূমপানের ধরণ খুঁজে বের করার জন্য এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ইন্ডাস হেলথ প্লাস সিগারেট ধূমপায়ীদের আচরণ বোঝার জন্য এক সপ্তাহের সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষায় কিছু চমকপ্রদ ফলাফল পাওয়া গেছে। ৫৮ শতাংশ মহিলা সম্পর্ক করার পরে সিগারেট খেতে পছন্দ করেন, যেখানে ৭০ শতাংশ পুরুষ খাবারের পরে ধূমপানের তাগিদ অনুভব করেন।
সিগারেটের অনেক সমস্যা
আপনি যদি ১৩ বছর বয়সে ধূমপান শুরু করেন, তাহলে আপনার নাতি-নাতনি বা তাদের সন্তানেরা আক্রান্ত থাকবে। অর্থাৎ তাদের শরীরে স্থূলতা সবার আগে বাসা বাঁধবে। এই গবেষণাটি সম্প্রতি সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায়, গবেষকরা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তারা বায়োমার্কার ব্যবহার করে এই চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছেন। কারণ ধূমপানের প্রভাব ও পরিবেশের অবনতিতে স্থূলতা, ফুসফুস, হার্ট, মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রোগের জন্ম দেয়। এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ক্রমাগত চলে।
এটা কারো কাছে গোপন নয় যে গর্ভাবস্থায় সিগারেট খাওয়ার ফলে পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের মধ্যে রোগগুলি স্থানান্তরিত হতে থাকে। অথবা এটি জেনেটিক্যালি বিকশিত হতে থাকে। এ কারণে ভ্রূণের আকস্মিক মৃত্যুও হতে পারে। এ ছাড়া কোনো শিশুর জন্ম হলেও সে অটিজমের শিকার হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যদি কোনও শিশুর দিদা বা মা ধূমপান করে থাকেন, তবে এটি পরবর্তী প্রজন্মের বিকাশ, শক্তি এবং ফিটনেস সমস্যা হতে পারে।
সতর্ক থাকুন
বর্তমান গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় গিয়েছে সিগারেট ধূমপানের প্রভাব চার প্রজন্ম ধরে চলে। এই গবেষণার পুরো ফোকাস ছিল নারীদের। কারণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের রোগ ও সমস্যা পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যেই বেশি ছিল। ১৩ থেকে ১৬ বছর বয়সে পুরুষদের দ্বারা ধূমপান করা হয়, তবে তাঁদের সমস্যা শুধুমাত্র পরবর্তী দুই প্রজন্মের জন্য থেকে যায়। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে তা বাড়ছে চার প্রজন্মে।