সন্ধ্যে হলেই একটু উল্টো পাল্টা খেতে মন চায়। রোল, চাউমিন, চপ-কাটলেট অথবা একটু মিষ্টি জাতীয় কোনও খাবার। হাতের সামনে পেলেই এগুলো পেটে যেতে বেশিক্ষণ সময় লাগে না। বিশেষ করে যখন আমাদের কোনও স্ট্রেসে থাকি, তখন কিন্তু এই ভুলভাল খাবার খাওয়ার ইচ্ছা আরও বেড়ে যায়। তখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া হয় সেই সঙ্গে চিপস, মিষ্টি, চানাচুর এসব খাওয়ারও ইচ্ছে বেড়ে যায়। আসলে এই সমস্ত খাবার আমাদের মন ভালো রাখে। যে কারণে মন খারাপ থাকলে বা দুঃখের মধ্যে থাকলে লোকে জাঙ্ক ফুড বেশি খায়।
জাঙ্ক ফুডে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট
জাঙ্ক ফুডের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট। দীর্ঘদিন ধরে খেলে যা শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক। কারণ এই স্যাচুরেটেড ফ্যাট সরাসরি ধমনীতে গিয়ে জমা হয়। ফলে রক্ত চলাচলে বাধা পায়। যেখান থেকে হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় এই সব খাবারের মধ্যে কিন্তু প্রচুর পরিমাণ চিনিও থাকে। যেখান থেকে ডায়াবেটিস অবধারিত। এছাড়াও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা তো আছেই।
খেতে ভালোবাসেন
অনেকেই আছেন যাঁরা খাবার দেখলে নিজেদেরকে ঠিক রাখতে পারেন না। খাবারের স্বাদ ও গন্ধেই পাগল হয়ে যান। সেই সঙ্গে খাবারটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন। এমন মানুষদের মধ্যেই কিন্তু জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা সর্বাধিক হয়ে থাকে। ভালো খাবার খেলে যখন মন ভালো থাকে তখন মন মস্তিষ্ক জানান দেয় আরও বেশি করে এই খাবার খাওয়ার জন্য। এই চিনি, ফ্যাট যত বেশি খাওয়া হয় ততই বেশি এই সব খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে।
রাতে ঘুম না আসলে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে রাতে যদি ঠিকমতো ঘুম না হয় বা ঘুম না আসে সেখান থেকেও জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ঘুম না হলে হরমোন ঠিক করে কাজ করে না। তখন খিদেও বেশি পায়। আর এতে কিন্তু কোলেস্টেরলও বাড়ে। ফলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি হয়ে যায়। পেটের খিদের থেকে তখন চোখের খিদেটাই বড় হয়ে দেখা দেয়।
অভ্যাস
অনেকেরই এরকম ভুল ভাল খাবার খাওয়া ছোট থেকেই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নিজেদের ডায়েট চার্ট নিয়ে এঁরা তেমন ভাবে মাথা ঘামাননি কোনও দিন। ফলে সেই অভ্যাসের খাতিরেই খেয়ে চলেন। এমনকী প্রয়োজনের তুলনায় অধিক খেতে খেতে এঁদের পাকস্থলিও সেই ভাবে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এঁরা জাঙ্ক ফুড খেতেও ততধিক ভালোবাসেন।
স্ট্রেস
স্ট্রেস কিন্তু এই ফুড ক্রেভিং এর বড় কারণ। আজকাল সকলেই নানা সমস্যায় জর্জরিত। সেই সঙ্গে কাজের চাপ তো আছেই। তাই লোকে এমন খাবার খোঁজে যা সহজেই পাওয়া যায়। ফাস্ট ফুড হল তেমনই খাবার। সহজলভ্য অথচ খেতে ভাল। আর মন ভালো না থাকলে সকলেই বেশি করে এই খাবারের দিকে ঝোঁকেন। তখন আমাদের হরমোনও ঠিক করে কাজ করে না। হরমোনের অসামঞ্জস্যতা জনিত কারণেই কিন্তু মিষ্টি, চিনি যুক্ত খাবারের প্রতি লোভ বেড়ে যায়।