শনি তাঁর গোচরের সময় প্রত্যেক রাশিকেই প্রভাবিত করে। যখন এই প্রভাব কোনও রাশির ওপর শনির বিশের পরিস্থিতির কারণে পড়তে দেখা যায় তখন তাকে সাড়েসাতি বলে। শনি যখন কোনও রাশিচক্রের দ্বাদশ ঘরে থাকে অথবা ওই রাশির দ্বিতীয় ঘরে থাকে তখন ওই রাশির ওপর সাড়েসাতি চলতে শুরু করে দেয়। এভাবে শনি কোনও রাশিকে তিনবার এভাবে প্রভাবিত করে। দেড় বছর ধরে তিনবার রাশিদের ওপর সাড়ে সাত বছর পর্যন্ত এই সাড়েসাতি চলে।
সাড়েসাতির প্রভাব
সাড়েসাতি সবসময়ই খারাপ ফল প্রদান করে বলে মনে করা হয়। কিন্তু এটা সবসময় কার্যকর হয় না। কারণ আগে দেখতে হবে যে আপনার ব্যক্তিগত দশা কোন অবস্থায় রয়েছে। এরপর জন্মছকে শনির পরিস্থিতি দেখতে হবে। তারপরই বুঝতে হবে যে সাড়েসাতি বা দাইয়ার ফল আদৌও খারাপ হবে কিনা।
সাড়েসাতির প্রভাব জীবনের ওপর
যদি সাড়েসাতি ভালো ফল প্রদান করতে শুরু করে তাহলে কেরিয়ারে সফলতা পাওয়া যায়। হঠাৎ করেই কোনও ব্যক্তি অর্থ ও উচ্চপদ পেয়ে যায়। বিদেশ থেকেও লাভ আসতে শুরু করে দেয় আর বিদেশ সফরের যোগ তৈরি হয়। যদি সাড়েসাতি অশুভ পরিণাম দেয় তাহলে রোজগারের রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিল সমস্যা দেখা দেয়। কখনও কখনও দুর্ঘটনার যোগ ও অপযশও হতে পারে। সাড়েসাতি সবচেয়ে বেশি মানসিক পরিস্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সাড়েসাতি থেকে মুক্তির উপায়
রোজ সকালে ও সন্ধ্যায় শনিমন্ত্র ওম শ শনিশ্চরায়ে নমঃ -র জপ করুন। শনিবার অশ্বত্থ গাছের নীচে সর্ষের তেল দিয়ে প্রদীপ জ্বালান। হনুমান চল্লিসার পাঠ করুন। খাবারে সর্ষের তেল, কালো ছোলা ও গুড় খান। এর পাশাপাশি নিজের ব্যবহার ও আচরণে পরিবর্তন আনুন। এছাড়াও লোহার আংটি বাঁ হাতের মধ্যমা আঙুলে পরে থাকুন। যদি সাড়েসাতির প্রভাব বেড়ে যায় তাহলে শনিবার সন্ধ্যার সময় দশরথ কৃত শনি স্ত্রোত্র পাঠ করুন।
শনিদেবের পুজোর সময় এই ভুল নয়
সূর্যোদয়ের আগে অথবা সূর্যাস্তের পর শনির পুজো সবসময় করা উচিত। শনিদেবের পুজোয় সর্বদা পরিষ্কার পোশাক পরা দরকার। স্নান করেই শনির পুজো করুন। শনিদেবের পুজোয় সর্ষের তেল বা তিলের তেল ব্যবহার করুন। শনিদেবের পুজো সবসময় শান্ত মনে করা উচিত। শনিপুজোয় কালো বা নীল রঙের আসন পেতে পুজো করুন। শনির পুজো অশ্বত্থ গাছের নীচে বসে করুন।