কোহলির পা ছুঁয়ে লকআপে আরামবাগের সৌভিকরাঁচিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সমালোচকদের বার্তা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। তাঁর সেঞ্চুরি উদযাপনের সময়ই মাঠের নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে কোহলির কাছে পৌঁছে যান এক যুবক। বিরাটের পায়ে লুটিয়ে পড়ে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সেই যুবক আদতে বঙ্গসন্তান। আরামবাগের ছেলে, কলেজ পড়ুয়া এই সৌভিক মুর্মু আসলেই ক্রিকেট পাগল ছেলে। মহেন্দ্র সিং ধোনির পাশাপাশি তিনি বিরাট কোহলিরও জাবরা ফ্যান।
এর আগে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কোহলির খেলা দেখতে তিনি আরামবাগ থেকে সাইকেল নিয়ে পৌঁছেছিলেন চেন্নাইতেও। কিন্তু তখন 'ভগবান'কে ছুঁয়ে দেখা হয়নি। অবশেষে রাঁচিতে সেই সুযোগ আসে। নিজের জমানো কিছু টাকা আর মায়ের থেকে বায়না করে নেওয়া সামান্য কিছু টাকার ভরসাতেই রাঁচিতে খেলা দেখতে পৌঁছেছিল আরামবাগের পুরশুড়ার সৌভিক। সেখানে নিজের স্বপ্নও পূরণ করে সে। কিন্তু, তারপর থেকেই রাঁচিতে পুলিশের কাছে বন্দি বাংলার যুবক।
ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন সৌভিকের পরিবার। তাঁর বাবা সমর মুর্মু জানান, ম্যাচ চলাকালীন রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তাঁর কাছে রাঁচি পুলিশের তরফে ফোন আসে ৷ তাঁরা সমস্ত ঘটনা বিশদে জানায় সৌভিকের পরিবারকে৷ এরপর থেকেই উদ্বিগ্ন সৌভিকের পরিবার ছেলেকে আনতে সোমবার রাঁচির উদ্দেশে রওনা হয়েছে ৷ তাঁর বাবার বক্তব্য, "ছেলে ছোটবেলা থেকেই খেলা পাগল। কিন্তু ও যে এমনটা করবে ভাবিনি। বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। আর যাতে এমন না করে দেখব। ছেলেকে ছাড়াতে রাঁচি রওনা দিচ্ছি।"
সৌভিকের মায়ের মুখেও এখন একই কথা। তিনি বলেন, "ছোট থেকেই ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসে সৌভিক। এমনকী একাধিকবার কোচিংয়ের জন্যও ভর্তি হতে চেয়েছিল সে। কিন্তু বাড়ি থেকে তাঁকে ভর্তি করানো হয়নি। আগেও অনেক জায়গায় খেলা দেখতে যেত, কিন্তু এমনটা কখনও হয়নি।"
জানা গিয়েছে, সৌভিক চেন্নাই ছাড়াও বিরাট কোহলির খেলা দেখতে আগে ইডেনেও এসেছিল। তখন হয়তো ইচ্ছে থাকলেও নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে কোহলির কাছে যেতে পারেননি তিনি। কিন্তু রাঁচিতে বিরাট সেঞ্চুরি হাঁকাতেই একলাফে বাউন্ডারির রেলিং টপকে সটান দৌড়ে এসে 'গুরু'র পায়ে লুটিয়ে পড়েন বাংলার যুবক। ফলে তাঁকে করতে হচ্ছে হাজতবাস। যার ফলে উদ্বিগ্ন পরিবার।