প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে দারুণ জয় ব্রাজিলের। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে সামনে ক্রোয়েশিয়া। তবে ব্রাজিল যে ছন্দে রয়েছে, তারা সেটা ধরে রাখতে পারলে কোনও দলের বিরুদ্ধেই খুব একটা সমস্যা হবে না তিতের ছেলেদের। নেইমার মাঠে নামতেই যেন বদলে গেল গোটা দলটা।
ফুটবল বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য় এখানে ক্লিক করুন
খেলতে নেমে প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ৭ মিনিটে ভিনিশিয়াস জুনিয়র গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন। ডানদিক থেকে নেইমারের বাড়ানো বল বাঁ দিকে ধরে গোল করে যান ভিনিশিয়াস। এই গোলের পর থেকেই শুরু হয় সেলিব্রেশন। রাফিনহার দাবি যে মিথ্যে নয়, তা বোঝা গেল এদিনই। অসাধারণ কোরিওগ্রাফি। ১০ মিনিটেই পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিল। রিচার্লিসনকে ফাউল করেন দঃকোরিয়ার ডিফেন্ডার। পেনাল্টি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও স্পট কিক থেকে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন নেইমার। চোট সারিয়ে ফেরার পরই গোল করে ফেললেন নেইমার। আরবার দেখা গেল নতুন নাচ।
আরও পড়ুন: কেউ মডেল, কেউ বা ফিটনেস বিশেষজ্ঞ; আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের সঙ্গিনীরাও সুপারস্টার
২৯ মিনিটে রিচার্লিসনের গোলের পর তিতেও যোগ দেন সেলিব্রেশনে। পেনাল্টি বক্সের আগে দারুণ স্কিল দেখালেন রিচার্লিসন। বল জাগলিং করে অনবদ্য পাস খেলে গেলেন তিনি। সেই পাস ফের ধরে গোল করে গেলেন তিনি। ২৯ মিনিটে করা তাঁর গোলের পরেই দেখা গেল দারুণ দৃশ্য। তৃতীয় গোলের পরে পিজিয়ান ডান্সে মেতে উঠলেন ব্রাজিল কোচ তিতে সহ গোটা দল। ৩৭ মিনিটে ফের গোল করে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। বাঁ দিক থেকে ক্রস ভিনিশিয়াসের। সেই বল ধরে গোল করেন লুকাস পাকেতা।
দ্বিতীয়ার্ধে যদিও কিছুটা দুলকি চালে ফুটবল খেলতে থাকে। এই সুযোগে ব্যবধান কমিয়ে ফেলেন পরিবর্ত হিসেবে নামা সেউং-হো পাইক। অসাধারণ গোল করেন তিনি। সেই সময় ব্যবধান কমানোর বেশ কিছু সুযোগ পেয়ে যায় তারা। তবে অ্যালিসন বেকার শক্ত দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান। তবে গোলটির ক্ষেত্রে প্রায় কিছুই করার ছিল না তাঁর। ডানদিকে ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি তিনি।