চুক্তি বাড়তে চলেছে সউল ক্রেসপোর (Saul Crespo)। পঞ্জাব এফসি-র (Punjab FC) কাছে ৪-১ গোলে লজ্জার হারের ফলে আইএসএল (ISL) সুপার সিক্সে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। তবে পরের মরসুমের জন্য দলের তিন বিদেশি ক্লেইটন সিলভা (Cleiton Silva), সল ক্রেসপো (Saul Crespo) এবং হিজাজি মাহেরকে (Hijazi Maher) ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বিশেষ করে মাঝমাঠের তারকা ক্রেসপো দলে থাকবেন কি না তাই নিয়ে বিশেষ আগ্রহ ছিল সমর্থকদের। ফ্যানদের দাবি ছিল, হিজাজিকেও রেখে দেওয়া হোক। তবে তাদের জন্য দারুণ খবর।
বিমান বিভ্রাটে ইস্টবেঙ্গল
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গলের বিমান। কিন্তু টেক অফ করার জন্য চলতে শুরু করেও যান্ত্রিক অসুবিধার জন্য থমকে যায়। এরপর প্রায় পৌনে ৩ ঘণ্টা বিমানের ভিতরেই অপেক্ষা করতে হয় ফুটবলারদের। শেষ পর্যন্ত প্রায় সন্ধে ৭টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরের পৌঁছান ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। বিমানবন্দরে এক সাক্ষাৎকারে সউল ক্রেসপো বলেন, 'দেখাই যাক না কী হয়। হয়তো ইস্টবেঙ্গলে আবার আমাকে পরের বছর দেখতে পারেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছুটি কাটিয়ে নেব।' ক্লেইটন সিলভাকে আগামী বছর রেখে দেওয়ার জন্য সওয়াল করেছেন খোদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। সূত্রের খবর ইস্টবেঙ্গলের বারপুজোর অনুষ্ঠানে থাকছেন ক্লেইটন। সাধারণ ভাবে বারপুজোর অনুষ্ঠানে পরের মরসুমের ক্যাপ্টেনকে বেছে নেওয়াই রীতি। মরসুম শেষ হওয়ার পরেও ক্লেইটন যদি বারপুজোতে থাকেন তা হলে সেই দিনই তাঁর নাম ক্যাপ্টেন হিসেবে ঘোষণা করে দিতে পারেন লাল-হলুদ কর্তারা।
বারপুজোর অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন কুয়াদ্রাতও। সুপার সিক্স খেলার স্বপ্ন পূরণ না করতে পেরে কুয়াদ্রাতের খারাপ লাগছে লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য। তিনি বলেন, 'সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি। আমরা শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াই করেছিলাম। তবে শেষ কয়েকটা মরসুমে ক্লাব যতটা পিছিয়ে পড়েছিল, সেখান থেকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এশিয়ার প্রতিযোগিতায় যোগ্যতা অর্জন করেছি। দীর্ঘদিন পর আবার ক্লাব সঠিক পথে এগোচ্ছে।'