ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) সই করতে চলেছেন প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal)? ময়দানে জোর গুঞ্জন চলছে এ নিয়ে। মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giant) প্রাক্তন সাইডব্যাক কি যোগ দেবেন লাল-হলুদ শিবিরে? তবে তাঁর ইস্টবেঙ্গলে যাওয়া নিশ্চিত তা বলা যাবে না এখনই। তার কারণ, কেরল ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) ১ বছরের চুক্তি থাকলেও, আসলে প্রীতমের সঙ্গে ১+১। অর্থাৎ এক বছর শেষ হয়ে গেলেও, পরের বছর তিনি কেরলে খেলবেন কি না তা এখনই বলা সম্ভব নয়, অন্য কোনও ক্লাবে সই করতে হলে কেরল ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে বাঙালি সাইডব্যাককে।
নতুন মরসুমে লাল-হলুদে একজন ভাল মানের সাইড ব্যাক দরকার। গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলছেন প্রীতম। এর আগে মোহনবাগান দলে থাকলেও, গত মরসুমে কেরলে যোগ দিয়েছিলেন প্রীতম। তবে এই মরসুমেই তিনি কেরল ছেড়ে ফের কলকাতার ক্লাবে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। মরসুমে শেষ হয়ে যাওয়ায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা দলের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে ফ্যানদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে সেই পোস্টে দল ছাড়ার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একাংশ যদিও মনে করছেন প্রীতম দলে এলে যতই ভাল হোক, কিন্তু মোহনবাগানের ঘরের ছেলে বলে পরিচিত প্রীতমকে দলে নেওয়া হোক তা চাইছেন না তাঁরা। প্রীতম নিজেও এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। তবে ইতিমধ্যেই বেশ শক্তিশালি দল গড়ছে লাল-হলুদ। এবারের আইএসএল-এ সেরা মিডফিল্ডার মাদিয়া তালালকে সই করিয়েছে তাঁরা। দলে এসেছেন ভারতীয় স্ট্রাইকার ডেভিডও। তবে এখনও বেশ কিছু জায়গায় ফুটবলার সই করানো বাকি রয়েছে। দ্রুত সেই সমস্ত জায়গায় প্লেয়ারদের সই করাতে তরুণ ফুটবলাররাই ভরসা দিচ্ছেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে।
এই মরসুমেও আইএসএল-এর প্লে অফে উঠতে পারেনি লাল-হলুদ। তবে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে তারা। ফলে পরের মরসুমে ভাল মানের দল গড়তেই হবে তাদের।