ভারত বনাম ইংল্যান্ড শেষ টেস্ট ম্যাচে ব্যাটসম্যানদেরই আধিপত্য দেখা যেতে পারে। অন্তত তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ়ে ভারত আপাতত ২-১ ব্য়বধানে এগিয়ে রয়েছে। আগামী জুন মাসে (১৮-২২) লর্ডসে আয়োজিত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অংশগ্রহণ করার জন্য এই অন্তিম টেস্ট ম্যাচটা ভারতকে হয় জিততে হবে, নতুবা ড্র করলেও চলবে। আশা করা হচ্ছে, এই টেস্ট ম্যাচের উইকেট স্পিনারদের অনুকূলে তৈরি হবে না। কারণ ভারতীয় ক্রিকেট দল এই উইকেট নিয়ে খুব একটা বেশি পরীক্ষানিরীক্ষা করতে চায় না। এই টেস্ট সিরিজ়ে ৩-১ ব্যবধানে জিততে পারলেই ভারতীয় ক্রিকেট দল সবথেকে বেশি খুশি হবে। তারজন্য টার্নিং উইকেটের খুব একটা বেশি দরকার নেই। পাশাপাশি পিচ কিউরেটরদের এটাও মাথায় রাখতে হবে যে এমন কোনও উইকেট করা যাবে না, যেখানে ভারতকেই বিপদের মুখে পড়তে হয়।
তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটা গোলাপি বলে খেলা হয়েছিল। এই বলটি উইকেটে পড়ামাত্রই দ্রুতগতিতে সামনের দিকে যাচ্ছিল। সেকারণে সোজা বলেও দুই দলের ব্যাটসম্যান নিজেদের উইকেট খুইয়ে আসে। ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইতিপূর্বে বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এক প্রবীন আধিকারিক বললেন, "আশা করা হচ্ছে, শেষ টেস্ট ম্যাচে ভালো উইকেটই তৈরি করা হবে, যা খুব সহজে ভাঙবে না। পাশাপাশি নিয়মিত বাউন্সও পাওয়া যাবে। এই উইকেট থেকে ব্যাটসম্যানরা যথেষ্ট সাহায্য পাবেন। আগামী চার থেকে আট মার্চ পর্যন্ত চলা এই টেস্ট ম্যাচে আশা করা হচ্ছে দুটো দলই বড় স্কোর খাড়া করতে পারবে।"
Smiles, handshakes & that winning feeling! 👏👏
Scenes from a comprehensive win here in Ahmedabad 🏟️👍👍 @Paytm #INDvENG #TeamIndia #PinkBallTest
Scorecard 👉 https://t.co/9HjQB6CoHp pic.twitter.com/7RKaBYnXYf— BCCI (@BCCI) February 25, 2021Advertisement
নতুন স্টেডিয়ামে আরও একটা টার্নিং উইকেট উচিত হবে না
সূত্রের খবর, সম্প্রতি পিচ কিউরেটরদের সঙ্গে বিসিসিআই-এর আধিকারিকদের একটা আলোচনা হয়েছিল। সেখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয় যে নয়া স্টেডিয়ামে আরও একটা ধুলোয় ভরা উইকেট তৈরি করা ঠিক হবে না। কারণ এই স্টেডিয়ামে আইপিএল এবং আসন্ন আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেষ টেস্টের পর ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট
বিসিসিআইয়ের ওই আধইকারিক বললেন, "যদি একই স্টেডিয়ামে দুটো ম্যাচ পরপর আয়োজন করা হয়, তাহলে একটা ফলাফল আলাদা করে দেওয়া সম্ভব নয়। শেষ টেস্ট ম্যাচটা হতে দিন, তারপরই ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথের রিপোর্টের ভিত্তিতে আইসিসি তদন্ত শুরু করবে। পাশাপাশি ইংল্যান্ড দলের কোনও আধিকারিক এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।"
যদি একই জায়গায় একটা ভালো এবং একটা খারাপ উইকেট তৈরি করা হয়, তাহলে আইসিসি'র তদন্ত করার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। এই সিরিজ়টা ভারতীয় ক্রিকেট দল ৩-১ ব্যবধানে জিততে পারলেই সবথেকে বেশি খুশি হবে। কিন্তু, সেজন্য ইচ্ছাকৃতভাবে আর স্পিন অনুকূল উইকেট তৈরি করা হবে না। কারণ ভারত ড্র করতে পারলেই কাজ হাসিল হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে পিচ কিউরেটররাও এমন উইকেট তৈরি করতে চান না যেটা ভবিষ্যতে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে গেলে সমস্যা হতে পারে।
MOOD 😁😎@Paytm #INDvENG #TeamIndia #PinkBallTest
— BCCI (@BCCI) February 25, 2021
Follow the match 👉 https://t.co/9HjQB6TZyX pic.twitter.com/yw2CH6EBh8
তিনি বললেন, "গোলাপি বলের টেস্টটা আমাদের কাছে বেশ ভালো গেছে, কারণ এই টেস্ট ম্যাচে বলের ভূমিকা অনেকটাই বেশি ছিল। বলটা উইকেটে পরার খুব দ্রুত গতিতে পিছলে যাচ্ছিল। তবে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা যেমন বলছেন, উইকেটে কিন্তু তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। ওরা সোজা বলও খেলতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের উইকেট ভারতীয় ক্রিকেট দলের উপরেও চাপ তৈরি করতে পারে। সেকথা খুব ভালো করেই জানে বিসিসিআই।"