ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্ব আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে তাঁর দল চেন্নাই সুপার কিংস ১৮ রানে হারিয়ে দিয়েছে। ম্যাচের শেষে মাহি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুখ খুললেন। কোন মন্ত্রে তিনি দলকে নেতৃত্ব দেন, কোন মনোস্তত্ত্বে তিনি বিশ্বাস করেন এইসব বিষয়েই তিনি কথা বলছিলেন। ঠিক সেইসময় ধোনি বললেন, একজন ক্রিকেটারের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিনয়ী হওয়া এবং বিপক্ষ দলকে শ্রদ্ধা করা।
আন্দ্রে রাসেল (৫৪), প্যাট কামিন্স (অপরাজিত ৬৬) এবং দীনেশ কার্তিকের (৪০) বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পরও বুধবার রাতে কোনওক্রমে নিজেদের মান বাঁচায় চেন্নাই সুপার কিংস। এই চড়াই-উতরাইয়ের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে সিএসকে ১৮ রানে হারিয়েছে।
ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে মহেন্দ্র সিং ধোনি খানিক হাসতে হাসতে বললেন, "১৫ এবং ১৬ ওভারের পর থেকে আমার কাছে ম্যাচটা বেশ সহজ হয়ে গিয়েছিল। কারণ তখন ফাস্ট বোলার বনাম ব্যাটসম্যানদের লড়াই চলছিল (হাসি)। এটা তোমার আর আমার মধ্যে লড়াই হয়ে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত যে দল কিছুটা ভালো খেলেছে, তারাই জিততে পেরেছে।"
সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, "যদি ম্যাচটা ২০ ওভার পর্যন্ত গড়াত, তাহলে লড়াইটা আরও হাড্ডাহাড্ডি হত। কোনও ক্রিকেটারকে সবসময়ই বিনয়ী হওয়া প্রয়োজন এবং বিপক্ষকে শ্রদ্ধা করা উচিত। প্রত্যেকটা আইপিএল দলেই বিগ হিটাররা রয়েছেন। আমি ওদের (চেন্নাইয়ের ক্রিকেটারদের) বলেছিলাম, আমরা যথেষ্ট ভালো রান করেছি। আমাদের শুধুমাত্র বিনয়ী হওয়া প্রয়োজন।"
ইতিপূর্বে টসে জিতে চেন্নাই সুপার কিংসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। ফাফ ডু প্লেসি (অপরাজিত ৯৫ রান) এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (৬৪) কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলারদের কার্যত কচুকাটা করেন। প্রথম উইকেটে ১১৫ রানের পার্টনারশিপটাই জয়ের ভিতটা মজবুত করে দেয়। গায়কোয়াড় প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পরেও ডু প্লেসি ধ্বংসলীলা চালাতে থাকেন। মইন আলি (২৫) এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি (১৭) কিছুটা হলেও ব্যাট হাতে দলের এই জয়ে অবদান রাখতে পেরেছেন। অবশেষে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তোলে চেন্নাই সুপার কিংস।
এত বড় একটা টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মাত্র ৩১ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় মরগ্যান বাহিনী। চেন্নাইয়ের প্রধান বোলার দীপক চহ্বার চার ওভারে ২৯ রান দিয়ে চারটে উইকেট শিকার করে নেন। অবশেষে ২২ বলে ৫৪ রান করে কিছুটা হলেও ক্ষতে মলম লাগান আন্দ্রে রাসেল। এরপর আশার আলো জাগিয়েছিলেন কার্তিক (৪০) এবং কামিন্স (৬৬ রানে অপরাজিত)। কিন্তু, শেষের দিকেও নিয়মিত উইকেট হারানোর কারণে কলকাতা নাইট রাইডার্স আর জিততে পারেনি।