চার বছর পর কলকাতা লিগের ম্যাচ ফিরেছে মোহনবাগান মাঠে। স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর সমর্থক এসেছিলেন রবিবার। আর সেই সমর্থকরা হতাশ হলেন না। ৫-২ গোলে জিতল মোহনবাগান। ডালহৌসির বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে ফেললেন সুহেল আহমেদ ভাট। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। মাত্র ২ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত সবুজ-মেরুন ক্লাব। বারবার জায়গা অদল বদল করে ডালহৌসির ডিফেন্সকে ছারখার করে দেন মোহনবাগান ফুটবলাররা।
১৯ মিনিটে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ডালহৌসি। বাঁ দিক থেকে বল ধরে ভেতরের দিকে ঢুকে আসতে থাকেন ডালহৌসির পল্টু দাস। কাট করে ভেতরের দিকে ঢোকার মুখে বাধা পান। তবে এছাড়া প্রথমার্ধে কোনও সুযোগই সেভাবে গড়তে পারেনি ডালহৌসি। ২৫ মিনিটে প্রথম গোল করেন সুহেল আহমেদ বাট। ডালহৌসির ডিফেন্ডারদের ভুলের সুযোগ নিয়ে বল ধরেন সুহেল। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে ডি বক্সের সামনে থেকে গোলরক্ষক বিক্রম পাড়িয়াকে এগিয়ে আসতে দেখে দারুণ শট করেন সুহেল। তাঁর শট জালে জড়ায়। দারুণ গোল করেন কাশ্মীরি এই ফুটবলার।
৪৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান সুহেল। ডানদিক থেকে ভেসে আসা সেন্টারে দারুণভাবে পা ছুঁয়ে গোল করে যান মোহনবাগানের তরুণ ফুটবলার। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। প্রথমার্ধে আর গোল না হলেও, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হ্যাটট্রিক করেন সুহেল। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান তিনি। ডান পায়ে ডানদিকের কোনায় শট করে যান তিনি। বিক্রম পাড়িয়া উল্টোদিকে ঝাঁপান।
৬১ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামা ফরদিন আলি মোল্লার গোলে ব্যবধান আরও বাড়ে। বাঁদিক থেকে উঠে আসা, সুহেলের মাইনাস ধরতে চেষ্টা করেন বিক্রম। তবে সেই সময় বল তাঁর হাত থেকে ফসকে যায়। সেই বলে টোকা মেরে গোল করেন ফরদিন আলি মোল্লা। তবে ৬৬ মিনিটে মোহনবাগান ডিফেন্ডারের ভুলে ব্যবধান কমায় ডালহৌসি। তবে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে গোল করে ফের দলকে এগিয়ে দেন ফরদিন আলি মোল্লা। শেষদিকে আরও একটা গোল করে ব্যবধান কমালেও শেষরক্ষা হয়নি।