চ্যাম্পিয়ন হয়েও চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা পাচ্ছে না মোহনবাগান। গত মরশুমে আইএসএল ফাইনালে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে ট্রফি ঘরে তুলেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে সামনের মরশুমে আর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নামতে পারবেন না জেসন কামিন্স, হুগো বুমোসরা।
কেন এমন হল?
মোহনবাগান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হলেও, লিগ শিল্ড তারা জিততে পারেননি। নতুন নিয়ম অনুসারে, লিগ পর্বে যারা চ্যাম্পিয়ন হয় তারাই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের মরশুমে মাঠে নামে। যে দল যতবার চ্যাম্পিয়ন হয়, তাদের জার্সিতে ততগুলি তারা থাকে। ফলে মোহনবাগানের জার্সিতে এবারের চ্যাম্পিয়ন হলেও স্টার থাকছে না। গত মরশুমের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি এই স্টার পরে নামতে পারবে। আগামী মরশুমের জন্য অনুশীলন ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। রবিবার শহরে এসে গিয়েছেন বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স। চলে এসেছেন হুগো বুমোস, ফ্লোরেন্টিন পোগবারা।
সোমবার ক্লোজডোর অনুশীলনের পাশাপাশি, ফুটবলারদের শারীরিক অবস্থাও পরীক্ষা করা হয়। মাঠে নেমেও হাল্কা গা ঘামান সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। কোচ জুয়ান ফেরান্দো ভিসা সমস্যা কাটিয়ে আগেই শহরে চলে এসেছেন। গত বার বিদেশি নির্বাচনের ক্ষেত্রে রক্ষণ ও মাঝমাঠ মজবুত করায় নজর দিয়েছিলেন ফেরান্দো। তিরি, ম্যাকহিউদের সঙ্গে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও ফ্লোরেন্টিন পোগবা, ব্রেন্ডন হ্যামিলদের সই করিয়েছিল মোহনবাগান। এবার রণকৌশল বদলে ফেলেছেন ফেরান্দো। ডিফেন্সে ব্রেন্ডন হ্যামিলকে রেখে দেওয়া হলেও, ছেড়ে দেওয়া হয়েছে স্লাভকো ডামজানোভিচকে। সার্বিয়ান তারকা এখন খেলছেন বেঙ্গালুরু এফসিতে। ছেড়ে দেওয়া তারকাদের তালিকায় রয়েছেন প্রীতম কোটাল, পুইটিয়ারাও। ফ্লোরেন্টিন পোগবাকে এখনও সরকারিভাবে রিলিজ না করা হলেও তাঁকে যে স্প্যানিশ কোচ রাখবেন না, তা দিনের আলোর মত স্পষ্ট।
তবে এই মরশুমে স্ট্রাইকার সমস্যায় আর ভুগতে হবে না মোহনবাগানকে। একের পর এক তারকা স্ট্রাইকার সই করিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। জেসন কামিন্সের সঙ্গে বিরাট সই করানো হয়েছে ইউরোপা লিগের আর্মান্দো সাদিকুকে। মাঝমাঠে সাহাল আব্দুল সামাদ, অনিরুদ্ধ থাপাকেও নিয়ে আসা হয়েছে।
এএফসি কাপেও ভারতের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব থাকবে মোহনবাগানের ওপর। পাশাপাশি এই মরশুমে লিগ শিল্ড জেতাও লক্ষ্য জুয়ান ফেরান্দোর দলের। ফলে শক্তিশালী দল গড়ে তুলতে চাইছে সবুজ-মেরুন।