scorecardresearch
 

Sikkim-Siliguri Road Open: শিলিগুড়ি-সিকিম জাতীয় সড়ক কবে খুলছে? যা জানা যাচ্ছে

Sikkim Disaster Black Market: বৃহস্পতিবার সিকিম প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের ভার্চুয়াল বৈঠকও হয়েছে সড়ক যোগাযোগের রেস্টোরেশন নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম প্রশাসনের পাশাপাশি বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন ও ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে রাস্তাটি গড়ে তোলার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে কবে সেই কাজ শুরু করা যাবে সেইটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

Advertisement
শিলিগুড়ি-সিকিম জাতীয় সড়ক কবে খুলছে? যা জানা যাচ্ছে শিলিগুড়ি-সিকিম জাতীয় সড়ক কবে খুলছে? যা জানা যাচ্ছে
হাইলাইটস
  • দুর্যোগের সুযোগে কালোবাজারি
  • বিধ্বস্ত সিকিমে নাজেহাল পর্যটকরা

Sikkim Disaster Black Market:  সিকিমে ভয়াবহ হরপা বানের আগেই সপ্তাহখানেক আগে ধস নেমে ভেঙে গিয়েছিল শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার মূল রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যার ফলে যান চলাচল বন্ধ ছিল বেশ কিছুটা এলাকায়। তার উপরে নতুন করে কয়েক দিনের মধ্যে এই বিপর্যয়ে তার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। শুধু ওই জায়গাতে নয়, ভেঙে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সড়ক যোগাযোগ আপাতত দু'একটি ঘুরপথে কোনও মতে সংযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বটে, তবে জাতীয় প্রাণ ফেরাতে না পারলে পরিস্থিতি যে বদলাবে না তা ভালোভাবেই জানেন সরকার ও প্রশাসনের কর্তারা।

বৃহস্পতিবার সিকিম প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের ভার্চুয়াল বৈঠকও হয়েছে সড়ক যোগাযোগের রেস্টোরেশন নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম প্রশাসনের পাশাপাশি বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন ও ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে রাস্তাটি গড়ে তোলার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে কবে সেই কাজ শুরু করা যাবে সেইটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

বৃষ্টি শুক্রবার নতুন করে নামেনি। ফলে উদ্ধার কাজ সামান্য ত্বরান্বিত হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে মৃতের সংখ্যা গণনা, কোনও রকমে বেঁচে যাওয়াদের পুনর্বাসন, এই সমস্ত কিছু জরুরি ভিত্তিতে করতে হচ্ছে। এখন রাস্তা মেরামত বা অন্যান্য কাজ প্রাথমিকতার মধ্যে নেই। তবে খুব দ্রুত সে কাজও করতে হবে এটাও ভালোভাবে জানেন সকলেই। তা না হলে সিকিমের অর্থনীতি দুমড়ে যাবে অনেকটাই। সিকিমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডিরেক্টর প্রভাকর রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার পর কোথায় কতটা কি ধরনের ক্ষতি হয়েছে, সেই তথ্য আগে সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন ১৯৯৫ সালে সিকিমের এই ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছিল। ফলে রাস্তাঘাট, জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরে। তা ছন্দে ফিরতে কয়েক বছর সময় লেগে গিয়েছিল। মেরামতিতেও সময় লেগেছিল বহু। এবার কতদিনে তা সম্ভব হবে তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। আবহাওয়া দফতরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন আরও দু-তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। তবে তা খুব একটা ভারী হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে আপাতত সড়ক যোগাযোগ নিয়ে কেউ কোনও সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারছেন না।

Advertisement

অন্যদিকে তিস্তার ভয়াল গ্রাসে অন্তত ৩০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কালিম্পং জেলায় বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এমনই রিপোর্ট এসেছে। বাংলা-সিকিম লাইফ লাইন ১০ নং জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গা ধসের কবলে। তা মোটামুটি চলার মতো করতেও অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রমনিয়ম টি।অন্যদিকে সিকিমের রংপো থেকে সিংতাম পর্যন্ত জাতীয় সড়ক দিয়ে দু’দিন পর যান চলাচল শুরু। বেশ কিছু জায়গায় একমুখী গাড়ি চলাচল করছে। ধীরগতিতে চলছে গাড়ি।

 

Advertisement