বিহারের মুজাফফরপুরে নিজেদের 'ব্যাঙ্ক' খুললেন ভিক্ষুক। সেখানে ভিক্ষুকরাই টাকা জমা করেন। তার ওপর আবার সুদও দেওয়া হয়। প্রয়োজনে আবার ভিক্ষুকদের ঋণও দেওয়া হয়। ভিক্ষুক ছাড়া অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষেরাও এই গ্রুপের সদস্য। তার মধ্যে ঠেলা গাড়ি বা রিক্সা চালকরাও রয়েছেন। এই 'ব্যাঙ্ক' পরিচালনার জন্য তাঁরা পাঁচটি পৃথক স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করেছেন। প্রতি রবিবার বৈঠকে বসেন তাঁরা। বৈঠকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়।
ললিতা দেবী নামে এক মহিলা জানান, টাকা কম থাকায় মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন না। কিন্তু এই ব্যাঙ্ক থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ পেয়ে সমস্যার সমাধান হয়। এমনকি সদস্যরাও নিজেদের প্রয়োজনে ঋণ নেন।
তুলসী গ্রুপের সম্পাদক বিভা দেবী বলেন, তাঁদের দশ জনের একটি দল আছে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের দলটি চলছে। বর্তমানে দলটির কাছে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। প্রয়োজনে একশত টাকা হারে সুদ নেওয়া হয়। সম্প্রতি গ্রুপের সদস্য মোহন কুমারকেও তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। গ্রুপের আরও এক সদস্যা জামুনি দেবী জানান, তিনি প্রতি সপ্তাহে ২০ টাকা জমা করেন। প্রয়োজনে ঋণও নেয়।
এরিয়া কো-অর্ডিনেটর নিপেন্দ্র কুমার বলেন, এই ব্যাঙ্কের খবর পেয়ে এবার সরকারি সাহায্যও আসছে। বিশেষ ঋণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে গ্রুপ অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বর্তমানে কোন গ্রুপের কাছে কত টাকা আছে...
১. প্রেমশিলা গ্রুপ, মতিপুর কুষ্ঠ গ্রাম - সদস্য সংখ্যা (১৫), সঞ্চয় - ৯,৬০০ টাকা
2. তুলসী গ্রুপ, সিকান্দারপুর - সদস্য সংখ্যা (১৪), সঞ্চয় পরিমাণ - ৮,৯৬০ টাকা
৩. লক্ষ্মী গ্রুপ, আখড়াঘাট - সদস্য সংখ্যা (১৩), সঞ্চয় - ২৫,৩৫০ টাকা
৪. গায়ত্রী গ্রুপ, শেখপুর ধাবা - সদস্য সংখ্যা (১৫), সঞ্চয় - ৬,৬০০ টাকা
৫. মা দুর্গা গ্রুপ, শেখপুর ধাবা - সদস্য সংখ্যা (১৫), সঞ্চয় - ৬,৬০০ টাকা
আরও পড়ুন - তৈরি হচ্ছে রাজ যোগ, ২১ অগাস্টের মধ্যে মালামাল হতে পারেন এই ৩ রাশির জাতকরা