Madhya Pradesh Alirajpur: মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলায় অনুষ্ঠিত এক অনন্য বিয়ে তুমুল আলোচনায়। এখানে এক গ্রামের সরপঞ্চ তাঁর তিন বান্ধবীকে নিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। তাঁদের ৬ সন্তানের উপস্থিতিতে আদিবাসী রীতি মেনে বিয়ে করেন চারজন। একই মণ্ডপের নিচে এই অনন্য বিয়ের সাক্ষী হন শতাধিক স্বজন। বিশেষ বিষয় হল এই তিন মহিলাই প্রায় ১৫ বছর ধরে এই ব্যক্তির সঙ্গে লিভ-ইন করছেন।
জেলার নানপুর গ্রামের সরপঞ্চ সমর্থ মৌর্য রবিবার তাঁর তিন বান্ধবীকে বিয়ে করেন। আদিবাসী ঐতিহ্য অনুসারে বিয়ের আচার তিন দিন ধরে চলেছিল এবং মৌর্য তাঁর তিন প্রেমিকাকে একটি মণ্ডপের নীচে নিয়ে গিয়েছিলেন।
তিনি ২০০৩ সালে তাঁর প্রথম বান্ধবীর সঙ্গে বাগদান করেছিলেন। এবং গত ১৫ বছর ধরে তাঁর আরও দুই বান্ধবীও তাঁর সঙ্গে বসবাস করছেন। আদিবাসী অধ্যুষিত জেলার মরি ফলিয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত বিয়ের আমন্ত্রণপত্রটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর ঘণ্টাতলা নতুন করে বানিয়ে দিল ASI, খুশি আশ্রমিকরা
আরও পড়ুন: বোল্ড লুকে 'ঝুমা বউদি', 'এমন করলে কী করে চলবে!' প্রশ্ন ফ্য়ানের
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে ডবল টাকা ফিরিয়েছে এই কোম্পানিগুলো, দেখুন Top 10
এত বছর পর বিয়ে করার ২টি কারণ
বর সমর্থ মৌর্যের বিয়েতে পরিবারের সকল সদস্য এবং বিশেষ করে শিশুরা খুব খুশি। বিয়ের অনুষ্ঠানে শিশুরাও প্রচণ্ড নাচ করেছে। বড় হয়ে যাতে ছেলেমেয়েদের সমাজের কটূক্তি শুনতে হয় না, তাই ১৫ বছর লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর সমর্থ বিয়ে করেন।
স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আদিবাসীদের শুভ কাজে সম্পৃক্ত হতে সামাজিক স্বীকৃতি অর্জন করা প্রয়োজন। এ জন্য এই সম্প্রদায়ের প্রতিটি দম্পতিকে প্রথমে আদিবাসী রীতি অনুযায়ী বিয়ে করতে হয়। সমাজের লোকজন বলছেন, এখন বর ও তাঁর তিন কনেকে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া হবে।
আইন যা বলছে
ভারতীয় সংবিধানের ৩৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ উপজাতীয় প্রথা এবং নির্দিষ্ট সামাজিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করে। তাই এই অনুচ্ছেদ অনুসারে, তিন বধূর সঙ্গে সমর্থ মৌর্যের বিয়ে অবৈধ বলে বিবেচিত হবে না।
এমন রীতি রয়েছে
আদিবাসী ভিলালা সম্প্রদায়ের লিভ-ইন-এ থাকার এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার স্বাধীনতা থাকে। তবে যতক্ষণ না আইন করে বিয়ে হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ধরনের লোকদের সমাজের শুভকাজে অংশ নিতে দেওয়া হয় না। ১৫ বছর পর এবং ৬ সন্তানকে নিয়ে সমর্থ মৌর্য তাঁর তিন বান্ধবীর সঙ্গে বিয়ে সেরে ফেলেন।