UFO US Navy Footage: ইউএফও-এর অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে সবসময়ই বিতর্ক রয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন পার্লামেন্টে শুনানির সময় বলা হয় যে সেনাবাহিনীর কাছে এখন পর্যন্ত তথাকথিত ইউএফও দেখার ৪০০টিরও বেশি প্রতিবেদন রয়েছে। ১১ বার সামরিক কর্মীদের তার সঙ্গে খুব কাছাকাছি মুখোমুখি হয়েছিল। আজ আমরা মার্কিন সেনাবাহিনীর তোলা এমনই একটি ভিডিওর কথা বলছি, যেখানে এক বৃত্তাকার ইউএফও দেখা গেছে।
২০১৯ সালে মার্কিন নৌবাহিনী এমন একটি ভিডিও ক্যাপচার করেছিল। যাতে একটি ইউএফও স্পষ্টভাবে দেখা যায়। সমুদ্রে অদৃশ্য হওয়ার আগে এই ইউএফও ক্যামেরার পর্দায় অনেকক্ষণ দৃশ্যমান ছিল।
পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে
এই ইউএফও সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। তবে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে এই ফুটেজটি খাঁটি, একেবারে সত্যি। ইউএফও-কে ডকুমেন্ট করেছেন, সেই চলচ্চিত্র নির্মাতা জেরেমি করবেল, যিনি ইউএফও নথিভুক্ত করেছেন, এই ভিডিওটি আপাতত অনলাইনে দেখার ব্যবস্থা করেছেন।
জেরেমি বলেছেন যে মার্কিন নৌবাহিনী গোলাকার ইউএফও এবং অ্যাডভান্সড ট্রান্সমিডিয়াম গাড়ির ছবি ক্য়াপচার করেছে। সেই ফুটেজের কিছু এখানে রয়েছে। Jeremy Corbell এই ক্লিপ এবং UFO সম্পর্কে তার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত শেয়ার করেছেন।
আরও পড়ুন: আকাদেমি প্রাঙ্গনে বুধবার থেকে শুরু লিটল ম্য়াগাজিন মেলা
আরও পড়ুন: 'ওঁকে মালা পরে ঘুরতে বলো,' শুভেন্দুকে কটাক্ষ পার্থর
আরও পড়ুন: চরক-শপথে তুমুল বিতর্ক, ভুল স্বীকার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের
জেরেমি করবেলের মতে, ভিডিওটি ২০১৯ সালে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে জনসাধারণের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।। সান দিয়েগোর উপকূলে যাত্রা করার সময় এটি ইউএসএস ওমাহার কমব্যাট ইনফরমেশন সেন্টার থেকে নেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও ভিডিওটি ছোট। তবে দেখা যাচ্ছে যে এই বস্তুটি বায়ু এবং জল উভয় মাধ্যমেই ভ্রমণ করতে সক্ষম। এটি একটি অত্যন্ত উন্নত বাহন বলে মনে হচ্ছে। যা অন্য যে কোনও পরিচিত যান বা সামরিক যানের চেয়ে ট্রান্সমিডিয়াম ভ্রমণ করতে পারে। এই বস্তুটি বেশ ছোট। রাডার ইমেজিং দেখায় যে এই বল আকৃতির বস্তুর ব্যাস ২ মিটার। এটি খুব দ্রুত চলে। এর গতি ২৫৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায, অনুমান করা হয়েছিল।
US Navy Footage Shows Spherical UFO Flying Around Before Diving Into Seahttps://t.co/u6CtQbI7Ru pic.twitter.com/uFrQpKzEwj
— IFLScience (@IFLScience) May 22, 2022
এই বস্তুটি দেখতে পাওয়ার পরেই সাবমেরিন থেকে এটার ব্য়াপারে খোঁজখবর করা শুরু হয়। কিন্তু ততক্ষণে সে বস্তুটি অনেক দূরে চলে গিয়েছে। বর্তমানে এমন কোনও বাহন নেই, যা দীর্ঘক্ষণ বাতাসে ওড়ে। তারপর জলেও যাত্রা চালিয়ে যেতে পারে।