12 October, 2023
BY- Aajtak Bangla
পুরাণে যমরাজকে মৃত্যুর দেবতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর বাসস্থানকে যমলোক বলা হয়। আসুন জেনে নিই মৃত্যুর ঈশ্বরের শহর কোথায় এবং তা দেখতে কেমন।
যমলোকে যমরাজের একটি বিশাল প্রাসাদ রয়েছে যা 'কালিতরি' নামে পরিচিত। যমরাজ তাঁর প্রাসাদে 'বিচার-ভু' নামে সিংহাসনে বসেন।
গরুড় পুরাণ এবং কথোপনিষদে যমলোকের কথা বলা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যমলোক 'মৃত্যুলোক'-এর উপরে দক্ষিণে ৮৬,০০০ যোজন দূরে অবস্থিত।
যমলোকে প্রবেশের জন্য চারটি দরজা রয়েছে। পাপীরা দক্ষিণ দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। দানশীল ব্যক্তিরা পশ্চিম দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। যারা সৎ চিন্তাশীল এবং সত্যবাদী তাঁরা উত্তর দরজা দিয়ে প্রবেশ করে।
উত্তম দরজা উত্তর দিকে। এটি স্বর্গদ্বার নামে পরিচিত। এই ফটক দিয়ে সিদ্ধ সাধক ও ঋষিরা প্রবেশ করেন। এই দ্বার দিয়ে যারা প্রবেশ করেন তাঁদের অপ্সরা, দেবতা এবং গন্ধর্বরা স্বাগত জানান।
যমরাজের অনেক সেবক আছে, যাদের যমদূত বলা হয়। তাঁদের দুই প্রধান রক্ষক হলেন মাহান্দ ও কালপুরুষ। বৈদ্যত যমের নগরীর দারোয়ান। এ ছাড়া চারটি চোখ ও প্রশস্ত নাসিকা বিশিষ্ট দুটি কুকুর যমলোককে রক্ষা করে।
যমলোকে চিত্রগুপ্তের বাড়ি আছে, তিনি যমরাজের সহকারী এবং যিনি জীবের কর্মের হিসাব রাখেন। চিত্রগুপ্তের বাড়ির চারদিকেই নানা ধরনের রোগবালাই বাস করে।
যমলোকে পুষ্পোদকা নামে একটি নদী প্রবাহিত হয়। এ নদীর জল পরিষ্কার ও শীতল। নদীর পাড় সুন্দর এবং ছায়াময় গাছও এখানে রয়েছে। যমলোকে ভ্রমণের সময় আত্মারা এখানে কিছু সময়ের জন্য বিশ্রামের সুযোগ পায়।
যমরাজের বাড়িটি তৈরি করেছেন দেবতা স্থপতি বিশ্বকর্মা। হরেক রকমের সুখ বিরাজ করছে এই ভবনে।