25 February 2024
BY- Aajtak Bangla
দিব্যা ভারতী এক অভিমানে ঝরে যাওয়া ফুলের নাম। মাত্র তিন বছরের অভিনয়জীবনেই তিনি উঠেছিলেন জনপ্রিয়তা আর পরিচিতির শীর্ষে।
দিব্যার জন্ম ১৯৭৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। আজ তাঁর ৫০ পূর্ণ হতো। কিন্তু মহাকাল সে সুযোগ দেয়নি তাঁকে। বরং মাত্র তিন বছরের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার রেখে ১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল ১৯ বছর বয়সে অকালেই চলে গিয়েছিলেন দিব্যা।
মৃত্যুর ৩০ বছর পরও দিব্যা ভারতীর মৃত্যুও আজও এক অজানা রহস্য। শুধুই কি দুর্ঘটনা! নাকি এর পেছনে ছিল কোনো ষড়যন্ত্র?
শোনা যায়, ১৯৯২ সালেই দিব্যা ভারতীর সঙ্গে পরিচয় হয় প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার। ভারাসোভার তুলসী অ্যাপার্টমেন্টে নাদিয়াদওয়ালাদের ফ্ল্যাটেই গোপনে বিয়ে করেন দুজনে।
দিব্যা তাঁর বাড়ির ব্যালকনি থেকে পা পিছলে পড়ে গেছেন। গুঞ্জন শোনা যায়, আত্মহত্যা, এমনকি খুনেরও। তবে শেষমেশ পুলিশ ফাইলে তাঁর মৃত্যুর ঘটনাকে একটা সাধারণ দুর্ঘটনা বলেই উল্লেখ করে মামলার ফাইল চূড়ান্ত করে।
দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর সময় পাঁচ থেকে ছটি ছবি অসমাপ্ত ছিল। অসমাপ্ত ছবিগুলোর তালিকায় রয়েছে —‘লাডলা’,‘মোহরা’, ‘কর্তব্য’, ‘বিজয়পথ’, ‘দিলওয়ালে’ ও ‘আন্দোলন’। এছাড়াও অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘পরিণাম’, সালমান খানের সঙ্গে ‘দো কদম’, ঋষি কাপুরের সঙ্গে ‘কন্যাদান’, সানি দেওলের সঙ্গে ‘বজরঙ্গ’ ও জ্যাকি শ্রফের সঙ্গে ‘চল পে চল’।
বলিউড বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, মাত্র তিন বছরে যে অভিনেত্রী সাফল্যের এই উচ্চতায় উঠতে পারেন, বেঁচে থাকলে হয়তো আজকের দিনে তিনি মাধুরী অথবা শ্রীদেবীর মতোই হয়ে উঠতেন বলিউডের আরেক কিংবদন্তি নায়িকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিব্যার অকালমৃত্যু না হলে শ্রীদেবী, জুহি ও মাধুরী দীক্ষিতদের হিসাব-নিকাশটা অন্য রকম হতো।
মৃত্যুর ৩০ বছর পরও দিব্যার মৃত্যুও আজ এক অজানা রহস্য।