23 March, 2025
BY- Aajtak Bangla
প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত ও কূটনীতিবিদ আচার্য চাণক্য জীবন ও সাফল্যের মূলমন্ত্র নিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁর নীতিশাস্ত্র অনুযায়ী, কিছু বিশেষ গুণ একজন মানুষকে কর্মজীবন এবং ব্যবসায় উন্নতির শীর্ষে পৌঁছে দিতে পারে। এই গুণগুলির অধিকারী ব্যক্তি কখনো সমস্যার সম্মুখীন হন না, বরং সবসময় চার ধাপ এগিয়ে থাকেন।
চাণক্য স্পষ্টভাবে বলেছেন, যে ব্যক্তি কঠোর পরিশ্রমী, সময়ের মূল্য বোঝে এবং মিষ্টভাষী—সে কখনো ব্যর্থ হয় না। এমন মানুষ শত্রুকে পর্যন্ত বন্ধুত্বে পরিণত করতে পারে এবং জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে।
কঠোর পরিশ্রম—সাফল্যের অপরিহার্য শর্ত আচার্য চাণক্যের মতে, পরিশ্রমই হল প্রকৃত সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে, সে জীবনে বড় কিছু অর্জন করবেই। অলসতা মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু, আর কঠোর পরিশ্রমী মানুষকে মা লক্ষ্মীও কৃপা দান করেন। তাই তিনি কখনো অর্থের অভাবে পড়েন না, বরং সর্বদা সমৃদ্ধ থাকেন। কর্মজীবনে উন্নতি করতে হলে অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
সময়ের মূল্যায়ন—জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ চাণক্যের মতে, "সময়ই হল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী বস্তু।" যে ব্যক্তি সময়ের মর্যাদা বোঝে, সে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি করে। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করলে জীবনে সাফল্য অনিবার্য। সময়ের অপচয় মানেই জীবনের সম্ভাবনাগুলিকে নষ্ট করা। যে ব্যক্তি সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে, সে সারাজীবন সুখী এবং প্রতিষ্ঠিত থাকে।
মিষ্টভাষিতা—সাফল্যের গোপন রহস্য একজন মানুষ কতটা সফল হবেন, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে তাঁর ব্যবহারের উপর। চাণক্য বলেছেন, যে ব্যক্তি মিষ্টভাষী, সে সহজেই মানুষের মন জয় করতে পারে। কর্মক্ষেত্রে বা ব্যবসায়, মিষ্টভাষী মানুষকে সবাই পছন্দ করে, তার সঙ্গে কাজ করতে চায়। এমনকি কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেও সে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারে। তাই, শুধুমাত্র পরিশ্রম ও সময়ের সদ্ব্যবহারই নয়, মিষ্টভাষী হওয়াও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
চাণক্যের এই নীতিগুলি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। কঠোর পরিশ্রম, সময়ের যথাযথ ব্যবহার ও মিষ্টভাষিতা—এই তিন গুণ যার মধ্যে রয়েছে, সে কর্মজীবনে দ্রুত উন্নতি করতে পারে। তাই, যদি আপনি কর্মক্ষেত্রে সফল হতে চান এবং অন্যদের থেকে চার ধাপ এগিয়ে থাকতে চান, তাহলে চাণক্যের এই মূল্যবান শিক্ষা রপ্ত করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।