17 July, 2024
BY- Aajtak Bangla
যে কোনো দেশের ভবিষ্যৎ তার প্রধান নেতার হাতে থাকে। চাণক্য বিশ্বাস করেন যে শুধুমাত্র একটি শক্তিশালী মাথার কাছেই দেশ নিরাপদ থাকতে পারে।
চাণক্যের নীতি বর্তমান সময়েও কার্যকর। তিনি কূটনীতি থেকে শুরু করে জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিতে দেশের মাথার অনেক গুণের প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যক্ত করেছেন।
চাণক্যের মতে,প্রধান ব্যক্তির শক্তি দেশের উন্নতি নিয়ে আসে। এই শক্তি তিন প্রকারের হওয়া উচিত - মানসিক, শারীরিক এবং আধ্যাত্মিক।
সঠিক সময়ে বন্ধুর প্রতি বন্ধুত্ব প্রদর্শন এবং শত্রুর প্রতি শক্তি প্রদর্শন কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র, যা সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী নেতার ব্যবহার করা উচিত।
রাষ্ট্রপ্রধানের বিদেশনীতিতে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। এ জন্য যুদ্ধই হওয়া উচিত শেষ অস্ত্র। তার আগে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে: সন্ধি, সমন্বয়, দ্বৈত নীতি, স্থবিরতা, যুদ্ধের প্রস্তুতি এবং কূটনৈতিক যুদ্ধ।
একমাত্র সেই নেতাই ভালো, যে তার প্রজা ও প্রতিবেশী রাজাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রাখে। এই সম্পর্কগুলি আপনাকে জনপ্রিয় করে তোলে এবং সময় এলে কাজে আসে।
একটি লক্ষ্য নির্ধারণের সঙ্গে সঙ্গে, একজন ভাল নেতা সেই দিকে যাওয়ার জন্য নীতি নির্ধারণ করে এবং এটি অর্জনের জন্য সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে।
প্রধান ব্যক্তির উচিত ভাল উপদেষ্টা নির্বাচন করা, যারা সঠিক এবং ভুল নির্দেশ করবে এবং উপযুক্ত পরামর্শ দেবে। প্রধান কিছু ভুল করলে তার উপদেষ্টারাই দায়ি হন।
জনগণের অন্যায়ের খেসারত দেশ বহন করে। চাণক্য নীতির ষষ্ঠ অধ্যায়ের দশম শ্লোকে প্রধানকে কঠোর শাস্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।