28 APRIL, 2025
BY- Aajtak Bangla
আমাদের জীবনে রঙের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, সাদা রঙকে একটি ইতিবাচক রঙ হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা স্নেহ, শীতলতা এবং ধৈর্যের প্রতীক। সবুজ রঙ বুদ্ধিমত্তার প্রতীক, লাল বা কমলা রঙ শক্তির প্রতীক, কালো রঙ নির্মমতা বা কঠোরতাকে চিত্রিত করে।
এইভাবে প্রতিটি রঙের নিজস্ব অর্থ রয়েছে। বাস্তুর ক্ষেত্রে, ঘরেও রঙগুলি বুদ্ধিমানের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত কারণ আমরা আমাদের জীবনে যে রঙই অন্তর্ভুক্ত করি না কেন, এটি আমাদের ব্যক্তিত্বের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। একইভাবে, বাস্তু এবং রঙের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
বাইরে থেকে লোকজন ড্রয়িং রুম বা লিভিং রুমে আসা-যাওয়া করে, তাই এই ঘরে হালকা রং ব্যবহার করলে সবকিছু হালকা মনে হবে। অফহোয়াইট, গোলাপী এবং সাদা রঙ বেশি ব্যবহার করুন।
স্বামী-স্ত্রী যে মাস্টার বেডরুমে ঘুমোন, সেখানে গোলাপী রং বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে। যারা বিয়ে করতে চান তাদের শোবার ঘরটি সাদা রং করা উচিত। কুমারী মেয়েদের শোবার ঘরটি গোলাপী বা সোনালী হলুদ রঙে রাঙিয়ে নিন।
বাচ্চাদের পড়ার ঘরে সবুজ, হলুদ বা কমলা রং করা যেতে পারে। যেসব শিশু অলস, তাদের ঘরে লাল বা কমলা রং করা উচিত। সক্রিয় শিশুর ঘর সবুজ বা হলুদ রঙে রাঙিয়ে দিন। বাচ্চাদের ঘরে হালকা রঙের পর্দা এবং বিছানার চাদর ব্যবহার করুন। অফ হোয়াইট রং ভালো হবে।
বাড়ির প্রধান বা বাড়ির প্রবীণদের ঘরের রঙের কথাও মাথায় রাখুন। যদি পরিবারের প্রধানের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হয়, তাহলে তার ঘর হালকা কমলা, গোলাপী, হালকা পিচ বা লাল রঙে রাঙিয়ে দিন। ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তির ঘরে হলুদ বা সাদা রং করা উপযুক্ত হবে।
রান্নাঘর ঘরের এমন একটি জায়গা যা সারা ঘরে শক্তি ছড়িয়ে দেয়। যদি আপনার বাড়ির রান্নাঘর দক্ষিণ দিকে হয়, তাহলে লাল বা কমলা রং করুন।
ঘরের ছাদের রং সবসময় হালকা রাখুন, এতে কখনও মনে ভারী ভাব আসবে না। সিলিংয়ের জন্য অফহোয়াইট বা সাদা রং ভালো হবে।
কিছু রং ঘরের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। আসলে, কিছু নির্বাচিত রং আছে যা ঘরের জন্য ব্যবহার করলে বাড়ির সদস্যদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এই রঙগুলি হল - বেগুনি, কালো, নীল। এগুলি হল সেই রং যা শনি এবং রাহুর রঙ হিসাবে বিবেচিত হয়। এই রঙগুলি ব্যবহার করলে ঘরের মানুষ অলস হয়ে পড়ে, পরিবারের সদস্যরা স্বার্থপর এবং খিটখিটে হয়ে ওঠে। একজন ব্যক্তি নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং রোগের শিকার হতে শুরু করে।
(Disclaimer: এখানে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)