27 JUNE, 2023
BY- Aajtak Bangla
হিন্দুধর্মে নদীগুলিকে মায়ের স্থান দেওয়া হলেও, এই দেশে এমন একটি নদী রয়েছে যা রীতিমতো অভিশপ্ত।
এই নদীর নাম কর্মনাশা নদী। এটি উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
কর্মনাশা নদীতে স্নান করার সঙ্গে সঙ্গে সব পুণ্যফল নষ্ট হয়ে যাবে।
এই নদীটির উৎপত্তিস্থল বিহারের কাইমুর জেলা থেকে। এরপর নদীটি উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র, চন্দউলি, বারানসি এবং গাজীপুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এই নদীর জল কোনও শুভকাজে ব্যবহার করা হয় না। শুভকাজে তো নদীর তীরেও যান না কেউ।
এর পিছনে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনি।
শোনা যায় যে, রাজা সত্যব্রত বশিষ্ঠ মুনির শিষ্য ছিলেন।
তিনি একবার তাঁর গুরুর কাছে একটি জিনিস চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর গুরু বশিষ্টের সামনে তাঁর দেহ নিয়ে স্বর্গে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন।
কিন্তু তাঁর গুরু এই ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করেছিল। এরপর রাজা সত্যব্রত তাঁর গুরুর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে, তাঁর গুরুর শত্রু বিশ্বামিত্রের কাছে গিয়েছিলেন।
যেহেতু বিশ্বামিত্র এবং বশিষ্ঠ মধ্যে আগে থেকেই সম্পর্ক ভাল ছিল না।
সেই কারণে বিশ্বামিত্র রাজা সত্যব্রতকে স্বর্গে পাঠাতে রাজি হন। কিন্তু ইন্দ্র বিশ্বামিত্রের কাজে খুবই ক্ষুব্ধ হন। তিনি সত্যব্রতকে মাথা উল্টো করে পৃথিবীতে ফেরত পাঠান।
কিন্তু বিশ্বামিত্র সত্যব্রতকে পৃথিবী এবং স্বর্গের মাঝখানে থামিয়ে দেয়। তখন থেকেই বিশ্বামিত্রের নাম হয়ে যায় ত্রিশঙ্কু।
এরপর ভগবান এবং বিশ্বামিত্রের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। সেই সময় ত্রিশঙ্কুর মুখ থেকে প্রবল বেগে লালা ঝরতে থাকে এবং এই লালা পৃথিবীতে নদীর আকারে আবির্ভূত হয়।
এটাও মনে করা হয়, সত্যব্রতকে তাঁর গুরু বশিষ্ঠ চন্ডাল হওয়ার অভিশাপ দিয়েছিলেন। তাই কর্মনাশা নদীকে অভিশপ্ত নদী বলা হয়ে থাকে।