25 SEPTEMBER, 2023
BY- Aajtak Bangla
বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে দুর্গোৎসব। এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে বাঙালির আবেগ। পুজো ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস।
বর্তমানে থিমপুজোর চল বাড়লেও একসময় পুজো বলতে ছিল বনেদি বাড়ির পুজো। কলকাতা শহরে বহু যুগ আগে শুরু হয়েছিল দেবীর আরাধনা।
এখনও কলকাতা শহরে একাধিক বনেদি বাড়িতে বিশেষ নিয়ম মেনে মায়ের পুজো করা হয়। রইল এমনই কিছু বনেদি বাড়ির পুজোর খোঁজ।
এবছর দুর্গোৎসবে একেবারে অন্যরকম স্বাদ পেতে চাইলে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন এই সব পুজোতে।
সাবর্ণ রায়চৌধুরির বাড়ির পুজো এই শহরের সবচেয়ে পুরনো পুজো বলে মনে করা হয়। বরিষার এই পুজো আজও সাবেকিয়ানার প্রমাণ রাখে। প্রায় ৪০০ বছর কেটে গিয়েছে এই পুজোর।
উত্তর কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ি পুজো ২৬২ বছরের পুরনো। শোনা যায় এই শোভাবাজার রাজবাড়িতেই আয়োজিত হয় কলকাতার প্রথম জমকালো, বড়মাপের পুজো। আজও এই পুজোর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।
শহরের অন্যতম বনেদি বাড়ির পুজো মধ্য কলকাতার বদনচন্দ্র রায়ের বাড়ির পুজো। এখানে বৈষ্ণব মতে দেবীর আরাধনা করা হয়। পশুবলি হয় না। এই পুজোর প্রায় দেড়শো বছর হয়ে গিয়েছে।
কলকাতার সবচেয়ে বড় ঠাকুরদালান দেখতে হলে আপনাকে আসতেই হবে উত্তর কলকাতার পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের খেলাট ঘোষ বাড়িতে। এখনকার প্রতিমাতেও রয়েছে বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও নবপত্রিকা বা বিসর্জনের সময় বিশেষ রীতি পালন করা হয়।
মধ্য কলকাতায় অন্যতম আকর্ষণ এই রানি রাসমণির পুজো। জানবাজারে আজও নিষ্ঠাভরে পুজার্চনা হয়। এখানে ২২ ফুটের প্রতিমার গায়ের রং হয় শিউলি ফুলের বোঁটার মতো। সরস্বতীর মুখ হয় সাদা। অসুরের মুখ সবুজ।