BY- Aajtak Bangla

মহিষাসুরের মা-বাবা কে? জানতেন না তো!

09 October 2024

মহিষাসুর ছাড়া দুর্গাপুজো অসম্ভব। বিজয়া দশমীতে দুর্গা ও তাঁর সনম্তানরা যেমন মিষ্টি পান, মহিষাসুরকেও মিষ্টি খাওয়ানো হয়।

এখন প্রশ্ন হল, দুর্গার পুরাণ তো সবাই জানেন। কীভাবে তাঁর সৃষ্টি। কিন্তু অসুরের মা-বাবা কে?

পুরাণ মতে, দৈত্যজননী দনুর দুই পুত্র – রম্ভ এবং করম্ভ। রম্ভ যখন অসুরলোকের অধিপতি, দনু এক দিন তাকে স্বর্গ এবং মর্ত্য জয় করার নির্দেশ দেন।

নদীর তীরে অগ্নিকুণ্ড জ্বালিয়ে তপস্যা শুরু করে রম্ভ। আর করম্ভ বুকসমান জলে দাঁড়িয়ে শুরু করে বরুণদেবের আরাধনা।

 দেবরাজ ইন্দ্র কুমিরের রূপ ধরে করম্ভকে আক্রমণ করেন জলের তলায়। সেই লড়াইয়ে অবশেষে মৃত্যু হয় করম্ভের।

কিন্তু নানা বাধা সত্ত্বেও তপস্যা শেষ করে রম্ভ। তার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে অগ্নিদেব বর দেন, রম্ভের যে পুত্র সন্তান হবে সে হবে স্বর্গ, মর্ত্য এবং অসুরলোকের একচ্ছত্র অধিপতি।

অভিশাপের কারণে স্বর্গের এক অপ্সরার আগমন ঘটে পৃথিবীতে, যে মানবীর পাশাপাশি মহিষীর রূপ ধারণ করতে পারে।

রাজা রম্ভ বিবাহ করেন তাকে। রম্ভ যখন তপস্যারত, অন্তঃসত্ত্বা রানি মহিষী তখন পশুর রূপ ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।

তখনই তার প্রতি আকৃষ্ট এক মায়াবী মোষ তাকে অপহরণের চেষ্টা করে। রাজা রম্ভ বাধা দিলে যুদ্ধ শুরু হয় এবং প্রাণ হারান রম্ভ।

যমরাজ রম্ভের আত্মা ছিনিয়ে নিতে এলে বাধা দেন পতিব্রতা মহিষী। নিজের গর্ভে স্থান দেন স্বামীর আত্মাকে। অর্থাৎ নিজের গর্ভস্থ সন্তান ছাড়াও তার গর্ভে লালিতপালিত হতে থাকে তার স্বামীর আত্মা।

এই আত্মার পুনর্জন্ম হয় - অসুর রক্তবীজ। আর যে গর্ভস্থ সন্তানের জন্ম হয়, তিনিই মহিষাসুর।