BY- Aajtak Bangla
28 MARCH, 2025
একমাস রমজান পালনের পর আসে মুসলমানদের প্রধান উৎসব খুশীর ইদ বা ইদ উল-ফিতর।
ইসলামী ক্যালেন্ডার (হিজরি) অনুযায়ী নবম মাস হল রমজান। দশম মাস অর্থাৎ শাওয়ালের প্রথম দিনটি বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয় ইদ।
ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, যারা সৎ উদ্দেশ্য প্রার্থনা এবং উপবাস করেন, ঈশ্বর তার ভক্তদের অতীতের পাপকে ক্ষমা করেন।
দিনটি পবিত্র নবী হজরত মোহাম্মদ যেদিন পবিত্র কোরানের প্রথম প্রকাশনা হিসাবে চিহ্নিত।
ইদ-উল-ফিতর কথাটির অর্থ উপবাস ভঙ্গের উত্সব। রমজান মাসের উপবাস ভঙ্গ করা হয় ইদের দিনে।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে, রমজান মাস কখনও ২৯ দিন তো কখনও ৩০ দিন হয়। এরপর চাঁদ দেখে পালন নয় খুশীর ইদ।
গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ইদ-উল-ফিতর-র কোনও নির্দিষ্ট দিন নেই। দশম মাসের আগে আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ার পরেই ইদ পালিত হয়।
শাওয়ালের চাঁদটি সৌদি আরবে প্রথম দেখা যায়। আর সে অনুযায়ী অন্যান্য দেশে ইদ পালনের তারিখটি নিশ্চিত হয়।
এই বছর ২ মার্চ থেকে রমজান মাস হয়েছে। এই রমজান মাস শেষ হতে পারে ৩০ বা ৩১ মার্চ। সেই হিসেব অনুযায়ী, মনে করা হচ্ছে ইদ হতে পারে ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল।
ইদ মানেই বিশেষ নামাজ, কোলাকুলি করে মোবারক জানানো সকলকে, নতুন জামাকাপড়, নাচ-গান, আড্ডা, খাওয়া -দাওয়া এবং সালামি বা ইদি।
সালামি বা ইদিকে বা ইদিয়াও বলে। এটি হল উপহার বা বকশিশ। পরিবারের ছোট সদস্যদের তাদের পিতামাতা, নিকটাত্মীয়রা প্রদত্ত উপহার বা শুভেচ্ছার অর্থের নাম। ইদি।
এটি ইদ উদযাপনের একটি ঐতিহ্যবাহী অংশ, যা শিশুদের আনন্দিত করে এবং তাদের প্রতি বড়দের স্নেহ ও ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়। এই সালামি দেওয়া বা নেওয়ার বিষয়ে ইসলামে কোনও বাধা নেই।