BY- Aajtak Bangla
12 MARCH 2025
প্রাচীন ভারতের মহাপণ্ডিত আচার্য চাণক্য ছিলেন একাধারে সর্বশাস্ত্রজ্ঞ, কূটনীতিজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। তিনি যে কোনও বিষয়ের গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা করতে জানতেন।
জীবনকে বাস্তবতার নিরিখে পরিমাপ করতেন তিনি। সেই কারণে এত হাজার বছর পরেও তাঁর উপদেশ আজও সমান ভাবে কার্যকরী ও উপযোগী।
চাণক্যের সাফল্যের নীতিগুলি আধুনিক সময়েও প্রাসঙ্গিক। তাঁর উপদেশ মানলে একজন ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারে।
আচার্য চাণক্যকে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বলা হয় চাণক্য নীতির কিছু নিয়ম মেনে যে কেউ উন্নতি করতে পারে।
আচার্য চাণক্য নীতিশাস্ত্রে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের সঠিক পার্থক্য নিয়ে কথা বলেছেন।
নীতিশাস্ত্রে তিনি বলেছেন যে, স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে বয়সের বেশি পার্থক্য থাকা উচিত নয়।
চাণক্যের মতে, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের বেশি পার্থক্য থাকলে তা জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে।
চাণক্যের মতে, একজন বয়স্ক মানুষের কখনও কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে করা উচিত নয়।
বিরাট বয়সের ফারাকে বিয়ে করলেও, তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের বেশি পার্থক্যের কারণে দু'জনের মানসিকতাও অনেক আলাদা হয়। এতে সম্পর্ক দুর্বল হয়।
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান যদি ৩ থেকে ৫ বছর হয়, তবে উভয়ের মানসিকতায় খুব একটা পার্থক্য থাকে না।
বয়সের এই ফারাক সবচেয়ে ভাল। এই ধরনের স্বামী এবং স্ত্রী একে অপরকে বোঝেন এবং তাই তাদের জীবন সব সময় সুখী হয়।