BY- Aajtak Bangla
9 JUNE, 2025
রথযাত্রার আগে জগন্নাথদেবের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল, স্নানযাত্রা। এই উৎসব ঘিরে পুরাণে রয়েছে নানা কাহিনি।
মনে করা হয়, স্নানযাত্রার দিন জগন্নাথদেবের জন্মদিন। তাই দেশজুড়ে মহাসমারোহে পালিত হয় এই উৎসব। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিন জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর পর তার জ্বর আসে।
স্নানযাত্রার পর নিভৃতবাস থেকে বেড়িয়ে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথে চড়ে দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথদেব।
এর সাতদিন পরে তাঁরা যখন ফিরে আসেন, সেই উল্টো রথ বা পূর্ণ যাত্রা। জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
বিশ্বাস অনুযায়ী, এই বিশেষ তিথিতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলেন সারা বছর ভাগ্য ভাল থাকে।
এই বছর জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা পড়েছে ১১ জুন বুধবার। এই বিশেষ দিন সকালে জগন্নাথের স্নানযাত্রা সম্পন্ন করতে পারলে, অত্যন্ত শুভ।
স্নানযাত্রার বিশেষ তিথিতে সকালবেলা নতুন বস্ত্র পরে গঙ্গায় স্নান সারতে হয়। এরপর মন্দিরে বা বাড়িতে থাকা জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার পুজো করার নিয়ম।
গঙ্গাজল ও কাঁচা দুধের সঙ্গে আতর, চন্দন ও কর্পূর মিশিয়ে নিষ্ঠা মনে স্নান করাতে হবে। স্নানের পরে ১০৮ টি তুলসী পাতা জগন্নাথদেবের চরণে দিন।
জগন্নাথদেব, সুভদ্রা ও বলরাম তিনজনের মূর্তির সামনেই গোলাপ ফুল দিয়ে সাজান ও ৫ রকমের ফল উপসর্গ করুন। এদিন অন্তত একজন ব্রাহ্মণকে ভোজন করানো শুভ বলে বিবেচিত।
এবারের রথযাত্রা ২৭ জুন, শুক্রবার এবং উল্টো রথযাত্রা (পুনর্যাত্রা) পড়েছে ৫ জুলাই রবিবার।