29 May, 2024

BY- Aajtak Bangla

স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঝগড়ায় রুষ্ট হন লক্ষ্মী, সংসারে দারিদ্র্য আর যে যে কারণে আসে...

দেবী লক্ষ্মী হলেন সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী। লক্ষ্মীর কৃপায় জীবনে কখনও ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধির অভাব হয় না। লক্ষ্মী দেবীকে খুশি করার জন্য মানুষ নানা রকম ব্যবস্থা নেয়। 

তবে এমন কিছু কাজ আছে যা দেবী লক্ষ্মীকে ক্রুদ্ধ করে। এমন কাজ যার কারণে রাহুর ক্রোধের সম্মুখীন হতে হয়। জানুন সেই কাজগুলো কোনটি যেগুলো করা সকলেরই এড়িয়ে চলা উচিত।

এটা বিশ্বাস করা হয় যে মা লক্ষ্মী শুধুমাত্র সেই বাড়িতেই বাস করেন যেখানে সুখ, শান্তি এবং প্রেমময় পরিবেশ থাকে। 

যে ঘরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়, যেখানে নারীদের সম্মান হয় না, সেখানে মা লক্ষ্মী কখনও আসেন না।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ঘরে নেতিবাচক শক্তির সৃষ্টি করে। শাস্ত্রে বলা আছে, যে স্বামী প্রতিটি ছোটখাটো বিষয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তর্ক বা ঝগড়া করে তাকে দেবী লক্ষ্মীর অসন্তুষ্টির সম্মুখীন হতে হয়। এই ধরনের মানুষ সবসময় বাড়িতে গরীব থাকে।

মারামারি এবং তর্ক-বিতর্ক নেতিবাচক শক্তি তৈরি করে যা ঘরে উত্তেজনা ও অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে। লক্ষ্মীদেবী শান্তি এবং ইতিবাচকতার দেবী, তাই তিনি নেতিবাচক পরিবেশে থাকেন না।

যদি স্বামী-স্ত্রী সবসময় ঝগড়া করে তাহলে এর মানে হল যে তারা দুজনেই একে অপরের সঙ্গে সুখী নয়। লক্ষ্মীদেবী সুখ, সমৃদ্ধি এবং তৃপ্তির দেবী, তাই তিনি এমন বাড়িতে বাস করেন না যেখানে মানুষ অসন্তুষ্ট হয়।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারামারি ও তর্ক-বিতর্কেও রাহু ভূমিকা পালন করে। রাহুর প্রভাবের কারণে একজন ব্যক্তি রাগান্বিত, ঈর্ষান্বিত এবং অহংকারী হয়ে উঠতে পারে, যা মারামারি ও মতভেদ সৃষ্টি করে।

রাহু দ্বারা প্রভাবিত একজন ব্যক্তি নিরাপত্তাহীন এবং ঈর্ষান্বিত বোধ করেন, যা সন্দেহ এবং মারামারি বাড়ায়।  এই ধরনের লোকেদের তাদের স্ত্রীর কাছ থেকে অযৌক্তিক প্রত্যাশা থাকে, যা হতাশা এবং রাগের কারণ হয়।

রাহু সংযুক্তি এবং বিভ্রম সৃষ্টি করে। এ কারণে দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝি ও মারামারি বেড়ে যায়। এর কারণে একজন ব্যক্তিকে রাহুর প্রকোপ ও মা লক্ষ্মীর ক্রোধ ভোগ করতে হয়।