BY- Aajtak Bangla
16 Oct 2024
লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে দু'টি জিনিস অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, এক নাড়ু আর দুই আলপনা। আজ আসুন আলপনা নিয়ে জানি।
পদ-চিহ্ন আলপনা : পদচিহ্নের আলপনা ধরে মা প্রবেশ করেন ভক্তের ঘরে। এমনটাই প্রচলিত ধারণা
শ্রী আলপনা : আলপনা মানেই মাঙ্গলিক অন্তরের সৌন্দর্য দিয়ে রেখার পর রেখা তুলে, তাতে সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করা। আলপনা মানেই স্থির একাগ্র চিত্তে অঙ্কন। অর্থাৎ কাজের প্রতি ভক্তি ও সমর্পণ।
মধ্যবর্তী শ্রী আলপনা বা মণ্ডলাকার বৃত্ত আলপনাটি তাই একাগ্রতা ও সমর্পণের প্রতীক; সাক্ষাৎ লক্ষ্মী শ্রী। অর্থাৎ গৃহস্থ এক মনে, মনের সবটুকু ভক্তি ও সৌন্দর্য দিয়ে এই আলপনা আঁকছেন, তাঁর লক্ষ্মী আসবে বলে। আল্পনা-৪
ধান্য আলপনা হল ধান গাছের রূপক। গোলা ঘরে, ভাঁড়ার ঘরের চৌকাঠে এই আলপনা দেওয়া হয়। মা লক্ষ্মীর পদচিহ্নের পাশাপাশি ধান্য আলপনা সূচিত করে শস্যসমৃদ্ধ অঙ্গন।
মৎস্য আলপনা: ধান যদি ভূমি যত সহ্য হয় তাহলে মৎস্য হলো পুস্করিনীর শস্য। তাই লক্ষ্মীপূজায় মৎস্যসূচিত অলংকরণ করা হয় অর্থাৎ শস্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
ঠাকুর ঘরে আঁকা হয় শঙ্খ- পদ্ম- শাঁখা- পলা অর্থাৎ শঙ্খধ্বনি দ্বারা দেবীকে আবাহন করা হচ্ছে।
মা লক্ষ্মী বিষ্ণু বক্ষস্থলস্থিতাম অর্থাৎ তিনি এয়োস্ত্রী। তা ছাড়া গৃহের প্রতিটি বধূনারীকেই যদি লক্ষ্মী কল্পনা করা হয়। তাই শাঁখা-পলা দিয়ে তার চিরায়ত শৃঙ্গারকে সূচিত করা।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, আলপনা মানুষের সুন্দর কল্পনা। ঠিক তাই, মানুষ তার সুন্দর কল্পনা সবটুকু শ্রী, সৌন্দর্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মীকে নিবেদন করছে বলেই লক্ষ্মী পূজায় আলপনার এত সমাহার।