March 3, 2024

BY- Aajtak Bangla

শিবরাত্রিতে এই নিয়ম মেনে চড়ান বেলপাতা, মনস্কামনা পূরণ হবেই

৮ মার্চ মহাশিবরাত্রি,এই দিনে  মহাদেবকে  বেলপাতা নিবেদন করতে পারেন।

শিবের কৃপা পেতে এদিন বিভিন্ন পুজোর সামগ্রির সঙ্গে বেলপাতাকেও রাখুন।

তিনটি  পাতা একসঙ্গে   আছে, এমন  বেলপাতা অর্পন করুন, এতে শিব ঠাকুরের কৃপা  আপনার উপর থাকবে।

জেনে নিন  কীভাবে করবেন শিব ঠাকুরকে তুষ্ট।

বাংলার ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি পালিত হয়। মানা হয় এই দিনই মহাদেব-পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল।

মহাশিবরাত্রির দিন  শুদ্ধ  মনে ভগবানকে ডাকলে  মনের সব কামনা পূর্ণ হতে পারে। এই দিন বেল পাতা মহাদেবকে নিবেদন করা হয়। তে।

এবার শিবরাত্রিতে চারটি যোগ তৈরি হচ্ছে , যা দিনটির গুরুত্ব বাড়িয়েছে।

বিশেষত এই ব্রতটি মেয়েরাই করে থাকেন, ভালো স্বামি পাওয়ার জন্য় শিবরাত্রির দিন মহাদেবকে জল দেওয়া হয়।

এই দিন বেল গাছের নীচে বেলপাতা দিয়ে  শিবের আরাধনা করলে , জীবনের সমস্ত দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

বেলপাতার সঙ্গে শিবলিঙ্গে চাল ও মুগ ডাল অর্পন করুন, এবং লোটা দিয়ে শিব লিঙ্গে জল দিন।    

বিশ্বাস করা হয় বেল গছে একাধিক দেব-দেবী  অবস্থান করেন , তাই বেল গাছের এত মহিমা।

এর থেকে ঘরের বিভিন্ন খারাপ শক্তি দূর হয়, চন্দ্রের দোষ থাকলেও সেটি দূর হয়।

 আপনি শিবলিঙ্গে ১১,২১,৫১ এবং ১০১টি বেলপত্র অর্পণ করতে পারেন। ভগবান শিবকে বেলপাতা অর্পণ করার আগে খেয়াল রাখুন যেন তা কোথাও ছিঁড়ে না যায়।

বেলপত্র সর্বদা উল্টো করে দিতে হবে অর্থাৎ বেলপাত্রের মসৃণ পৃষ্ঠ শিবলিঙ্গে স্পর্শ করাতে হবে। মনে রাখবেন সর্বদা অনামিকা, বুড়ো আঙুল এবং মধ্যমা আঙুলের সাহায্যে বেলপত্র অর্পণ করুন। মাঝের পাতাটি ধরে মহাদেবকে নিবেদন করুন।

নির্দিষ্ট তিথিতে বেলপত্র ভাঙা নিষেধ। উদাহরণস্বরূপ, চতুর্থী, অষ্টমী, নবমী, চতুর্দশী এবং অমাবস্যা, সংক্রান্তির সময় এবং সোমবার, বেলপাতা ছেঁড়া হয় না। এমন অবস্থায় পুজোর একদিন আগে বেলপাতা ছিঁড়ে রাখা হয়।