19 AUGUST, 2024
BY- Aajtak Bangla
ভগবান কৃষ্ণের জন্মের অর্থাৎ জন্মাষ্টমী উৎসবের এখন মাত্র এক সপ্তাহ বাকি।
এবার এই উৎসব পালিত হচ্ছে ২৬ অগাস্ট সোমবার। এ জন্য সারাদেশের ভক্তরা প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত।
জ্যোতিষীদের মতে, কানহাজি ছোটবেলা থেকেই দুটি জিনিসের খুব পছন্দ করতেন। এর মধ্যে প্রথমটি ছিল তার বাঁশি এবং দ্বিতীয়টি ছিল ময়ূরের পালক।
মা যশোদা যখনই কানহাজিকে সাজাতেন, তিনি সর্বদা তাঁকে ময়ূরের পালকের মুকুট দিয়ে সজ্জিত করতেন।
ময়ূরের পালক খুব শুভ বলে মনে করা হয় কারণ এটি কানহাইয়াজির খুব প্রিয়। কথিত আছে যে ব্যক্তি ময়ূরের পালকের সঙ্গে সম্পর্কিত ৪টি উপায় গ্রহণ করেন, তার ভাগ্য উজ্জ্বল হতে সময় লাগে না।
জ্যোতিষীদের মতে, রাহু গ্রহ যদি কোনও ব্যক্তির কোষ্ঠীতে শক্তিশালী হয় তবে তার বিনাশ হতে সময় লাগে না। এমন পরিস্থিতিতে রাহুকে শান্ত রাখা জরুরি বলে মনে করা হয়। এর জন্য ময়ূরের পালকের লম্বা কাঠিতে একটি সুপারি নিবেদন করুন এবং তার উপর গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন। এতে করে রাহু শান্ত হয় এবং জীবনের ক্ষতি এড়ানো যায়।
ময়ূরের পালক বাড়ির মন্দিরে রাখা আর্থিক সংকটে ভোগা মানুষের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে এর ফলে ঘরে অর্থের প্রবাহ বাড়ে। এর সঙ্গে একটি ছোট ময়ূরের পালক লাল সুতো দিয়ে বেঁধে ঘরের সিন্দুকে রাখতে হবে। এতে করে আয়ের উৎস বাড়ে এবং পরিবারের সদস্যরা ধনী হতে শুরু করে।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের দূরত্ব কমাতে ময়ূরের পালকের প্রতিকার কার্যকর বলে মনে করা হয়। আসলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্নেহের প্রতীক এবং ময়ূরের পালক তাঁর প্রিয় জিনিস। এমন পরিস্থিতিতে দাম্পত্য সম্পর্ক মজবুত করতে আপনার শোবার ঘরে ময়ূরের পালক লাগান। এতে শুধু দুজনের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধনই মজবুত হবে না, আপনিও সুখে মগ্ন থাকবেন।
শিশুদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ জাগাতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ময়ূরের পালকের প্রতিকার ব্যবহার করতে হবে। জ্যোতিষীদের মতে, শিশুদের ব্যাগে ময়ূরের পালক রাখা বা তাদের সর্বাধিক পাঠ্য বইতে ময়ূরের পালক রাখা তাদের পড়াশোনার প্রতি আকৃষ্ট করে। একই সঙ্গে শিক্ষার প্রতিও সিরিয়াস হয়ে ওঠে।