8 January 2024

BY- Aajtak Bangla

রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঠিক কখন? শুভ মুহূর্তটি রইল

রাম জন্মভূমি অর্থাৎ ভগবান রামলালার ভূমি অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের বিশাল মন্দির উদ্বোধনের দিন ক্রমেই এগিয়ে আসছে।

এই মাসের ২২ তারিখে সেখানে ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের শিশুরূপের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। 

 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী  নিজ হাতে ভগবান শ্রী রামলালার শিশুরূপের  মূর্তি বহন করে গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন।

প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় ধার্য হয়েছে মাত্র ৮৪ সেকেন্ড।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুজো মণ্ডপ থেকে গর্ভগৃহের ৩০০ মিটার দূরত্ব ২৫  সেকেন্ডের মধ্যে অতিক্রম করে রামলালাকে স্থাপন করবেন।

পুজো ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া ৪০ মিনিটের হবে, তবে গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠার জন্য শুধুমাত্র ৮৪ সেকেন্ডের মুহুর্ত বেছে নেওয়া হয়েছে, যা দেশের উন্নতির জন্য সর্বোত্তম।

 এই পুরো পুজো পদ্ধতির জন্য কাশী থেকে ৫০ জন পুরোহিত আসছেন, যার মধ্যে পাঁচজন পণ্ডিত যজ্ঞ কুণ্ড প্রস্তুত করতে ইতিমধ্যে  অযোধ্যায় পৌঁছেছেন।

বাকি পণ্ডিতরা  ১৪ এবং ১৫  তারিখে অযোধ্যায় চলে আসবেন। পুজোর  নেতৃত্ব দেবেন কাশীর পণ্ডিত ৮৫ বছর বয়সী পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত। ।

প্রথমে রামচন্দ্রের ধ্যান করা হবে। তাঁকে ফুল দেওয়া হবে। এরপর প্রভুর আসনের জন্য ফুল দেওয়া হবে।

 নবজাতক শিশুর জন্মের পরে যেমন মধু দেওয়া হয়, ঠিক সেভাবেই ভগবান শ্রী রামলালাকে মধু দেওয়া হবে। এর পর ঈশ্বর স্নান করবেন।  প্রভুর ষোড়শপচার পুজা সম্পন্ন হবে।

 প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে এই পুজো  সম্পন্ন হবে। ৮৪ সেকেন্ডের পুজোটি  প্রধানমন্ত্রী  প্রতীকী পুজো  হিসেবে পালন করবেন।

পুজোর  জন্য ৮৪ সেকেন্ডের শুভ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে যা অভিজিৎ মুহুর্ত। এই মুহুর্তা বেলা ১২টা ২৯ মিনিট ৮ সেকেন্ড থেকে ১২টা ৩০ মিনিট মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত।

এই শুভ সময়টি নির্ধারণ করেছেন বারাণসীর জ্যোতিষী পণ্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের পর তাঁর হাতেই ভগবান রামলালর স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ার কথা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমে পৌঁছাবেন এবং তার পরেই পুজো শুরু হবে। প্রায় ২০ মিনিটের পুজো শেষ করার পরে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভগবান রামলালাকে হাতে নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন। এর আগে ১৭ তারিখ ভগবান রামের বড় মূর্তি স্থাপনের কাজ শেষ হবে।

অযোধ্যায় ১৭ জানুয়ারি থেকে পুজো  প্রক্রিয়া শুরু হবে, তবে ভগবান রামলালার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রায় ৪০ মিনিটের পুজো ২২ জানুয়ারি শেষ হবে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর ২০ মিনিটের জন্য পুনরায় পুজো করা হবে।

এর পর সকলে আরতি করবেন। আরতি শেষে প্রসাদ বিতরণ হবে। সূর্যাস্তের পর সন্ধেবেলায় হবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান।