03July, 2024
BY- Aajtak Bangla
শাস্ত্র মতে ঝাঁটা বা ঝাড়ুকেই মা লক্ষ্মীর অংশ বা স্বরূপা হিসেবে মনে করা হয়। আমাদের প্রত্যেকের জীবন নিজেদের ও নিজের পরিবারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
রথের দিন দিনের বেলায় স্নান সেরে আপনাকে প্রথমে ঘরের ঠাকুরঘরে যান। জগন্নাথ দেব ও মা লক্ষ্মীকে প্রণাম করুন। এবার আপনার মনোবাঞ্ছা ব্যক্ত করুন।
এরপর যে ঝাড়ুটি দিয়ে আপনি রোজ ঘর ঝাড় দেন, সেটি নিয়ে সেটির হাতলটি ভেজা কাপড় দিয়ে মুছুন।
এবার একটি সাদা মোটা সুতো প্যাঁচ দিয়ে ঝাড়ুর হাতলে বাঁধুন। কটি প্যাঁচ দিতে হবে, সেটির কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে ভালভাবে বাঁধবেন যাতে হাতল থেকে সুতো খুলে না যায়।
এবার মনে মনে জগন্নাথ ও লক্ষ্মীকে স্মরণ করুন। ঝাড়ুটিকে নিজের জায়গায় রেখে দিন।
এই টোটকা করলে আর্থিক সংকট দূর হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের কোনও পাওনা আদায় হবে।
আয়ের নতুন নতুন পথ খুলে যাবে। এমন পথ, হয়তো আপনি স্বপ্নেও ভাবেননি। আবার পুরনো পাওনা, যার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন সেটি হঠাৎ আদায় হয়ে যেতে পারে।
চাকরি করলে, প্রমোশন, মাইনে বৃদ্ধি হবেয ব্যবসা করলে, নতুন কাজের বরাত পাবেন। যাতে আপনার আয় বাড়বে।
তবে মাথায় রাখতে হবে, ঘরে ঝাড়ু কখনও খাড়া করে রাখবেন না। মাটিতে শুইয়ে রাখতে হবে।
ঝাড়ু কখনও ঠাকুরঘরে রাখবেন না। ঠাকুরঘরে ঝাড়ু রাখলে গৃহস্থের অকল্যাণ হয়। টাকা পয়সা খরচ বাড়তে থাকে। ব্যায় বাড়তে থাকে। সংসারে অশান্তি লেগে থাকে।
ঝাড়ু রাখতে হবে এমন কোনও জায়গায় যেখানে সহজে কারও নজর পড়ে না। বিশেষ করে বাইরে থেকে কেউ এলে, অর্থাৎ বহিরাগত কেউ যেন আপনার ঘরের ঝাড়ু দেখতে না পান।